নিউজবাংলা রিপোর্টঃ লেখক গবেষক সাপ্তাহিক রোববারের সম্পাদক সৈয়দ তোশারফ আলী বলেছেন, পুরো দেশটা মৃত্যু উপত্যকা হলে কবি সাহিত্যিকরা কী করে আশার ছবি আঁকবে । এই অবস্থার মধ্যে যে সব চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটছে যে তথ্য বেরিয়ে আসছে তা বেদনাদায়ক । একটা শ্রেণি রাতারাতি বড়লোক আর আখের গোছানোর চেষ্টায় মত্ত। মানবিক মর্যাদা রক্ষায় আমাদের সাহিত্যে এর তীব্র সমালোচনা দরকার।
তিনি শুক্রবার রাতে ‘সারেঙ সাহিত্য সভা’ আয়োজিত পুনর্মিলনীতে ‘কোভিড 19’ বিষয়ক এক ভার্চুয়াল আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, করোনা মহামারী আগে এই মানবজাতির হয়নি। এ এক নতুন অভিজ্ঞতা। তরুণ সমাজের মাঝে মানবিক বোধ ছড়িয়ে দিতে হবে। তাদের জাগিয়ে তুলতে হবে। ঢেলে সাজাতে হবে শিক্ষাব্যবস্থাকে। ডাক্তার নার্সদের মাঝে সেবার মনোভাব ফিরিয়ে আনতে হবে।
তোশারফ আলী করোনার ভয়াবহতা তুলে ধরে বলেন, করোনার ভ্যাকসিন নেওয়ায় পরও আমাদের ফকির আলমগীর ইন্তেকাল করেছেন। দুঃখজনক হলো গ্রামগঞ্জে চিকিৎসা সেবার মান বাড়াবার পরিকল্পিত উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। সেটা হলে ঢাকায় এতো রোগীর চাপ পড়ত না। ফলে করোনার চিকিৎসা অত্যন্ত ব্যয়বহুল হয়ে পড়েছে। তিনি বলেন, নদীকে নর্দমা বানিয়ে ফেলা হয়েছে, গবাদি পশু রাখার জায়গা নেই। উপকূলের অবস্থা খারাপ। রাষ্ট্রের বিনির্মাণে দীর্ঘ ও টেকসই পরিকল্পনা নিতে হবে। সেটা হয় না বলে সড়ক ভেঙে যায়, সেতু ধসে পড়ে। তরুণ সমাজের মাঝে নাগরিক বোধ সৃষ্টি করে সকল পর্যায়ে পরিবর্তন আনতে হবে।
তিনি নাগরিক বোধ ও মূল্যবোধ সৃষ্টিতে সাহিত্যকর্মীদের ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান। সারেঙ সম্পাদক আবদুর রহমান মল্লিকের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন কবি একরামুল হক খন্দকার, লেখক রুহুল ইসলাম টিপু, কবি শামীমা সুলতানা, সাংবাদিক সাহিদুল ইসলাম, কবি হামীম হাফিজুল্লাহ, কবি দিলরুবা লিপি প্রমুখ। সভায় প্রখ্যাত গণসংগীত শিল্পী ফকির আলমগীর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করা হয়।