নিউজবাংলা ডেস্ক:
দক্ষিণ কোরিয়ার এক কর্মকর্তাকে হত্যার পর পুড়িয়ে ফেলেছে উত্তর কোরিয়ার সেনারা। দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। ওই বিবৃতিতে উত্তর কোরিয়ার এমন কর্মকাণ্ডকে বর্বর বলে উল্লেখ করা হয়েছে। খবর বিবিসির।
সিউলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, একটি টহলদারি নৌকা থেকে নিখোঁজ হয়েছিলেন ওই কর্মকর্তা। পরে উত্তর কোরিয়ার জলসীমায় তাকে খুঁজে পায় দেশটির সেনাবাহিনী।
দক্ষিণ কোরিয়ার পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে যে, তাদের ওই কর্মকর্তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। পরে তার গায়ে তেল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
তবে এ বিষয়ে পিয়ংইয়ংয়ের পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য করা হয়নি। সম্প্রতি করোনাভাইরাস মহামারির কারণে সীমান্তে কঠোর বিধি-নিষেধ জারি করেছে উত্তর কোরিয়া।
অন্য কোনো দেশ থেকে আগতদের মাধ্যমে করোনাভাইরাস যেন কোনো ভাবেই ছড়িয়ে পড়তে না পারে সেজন্য ঘটনাস্থলেই গুলি করে হত্যার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ফলে কেউ অন্য দেশ থেকে উত্তর কোরিয়ায় প্রবেশের চেষ্টা করলেই তাকে মরতে হবে।
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, নিহত ওই কর্মকর্তা মৎস বিভাগে কর্মরত ছিলেন। তিনি উত্তর কোরিয়ার সীমান্ত থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে টহলদারি নৌকায় ছিলেন।গত সোমবার তিনি নিখোঁজ হন। ৪৭ বছর বয়সী ওই কর্মকর্তা দুই সন্তানের জনক। তিনি নিখোঁজ হওয়ার পর উত্তর কোরিয়ার টহলদারি একটি নৌকা তাদের জলসীমায় ওই কর্মকর্তাকে আবিষ্কার করেন।
পরবর্তীতে তাকে হত্যা করা হয়। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে দক্ষিণ কোরিয়া বলছে, এটি একটি বর্বর হত্যাকাণ্ড এবং উত্তর কোরিয়ার কাছে এর ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে দোষীদের শাস্তির দাবি জানানো হয়েছে।
এ নিয়ে এমন ঘটনা দ্বিতীয়বার ঘটল। এর আগেও দক্ষিণ কোরিয়ার এক বেসামরিক নাগরিককে হত্যা করেছিল উত্তর কোরিয়ার সেনারা। ২০০৮ সালের জুলাই মাসে দক্ষিণ কোরিয়ার এক পর্যটককে গুলি করে হত্যা করেছিল উত্তর কোরিয়ার এক সেনা সদস্য।