নিউজবাংলা ডেস্ক :
নজরুল-প্রমীলা পরিষদ, ঢাকা মহানগর এর উদ্যোগে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৪৪ তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয়েছে। আজসকাল -১০টায় ফকিরেরপুলস্থ কচিপাতা কার্যালয়, ঢাকায়, লেখক-সংগঠক-প্রকাশক নজরুল-প্রমীলা পরিষদ এর ঢাকা মহানগরীর সহ-সভাপতি আলেয়া বেগম আলোর সভাপতিত্বে ও কবি ফরিদ সাইদ এর সঞ্চালনায় স্মরণ সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি এম. আর মনজু। প্রধান আলোচক ছিলেন সহ-সভাপতি মসলেহউদ্দিন খান মজলিস। স্মরণসভায় আরো বক্তব্য রাখেন ছড়াকার মানসুর মুজাম্মিল, লেখক সৈয়দ নাজমুল আহসান, সংগঠক এম.এ. মুক্তাদীর, হাসানুল বান্না, কবি আফরোজা মুন্নী, দেলোয়ার। সভায় ফোনে যুক্ত হয়েছিলেন সংগঠনের মহানগর কমিটির সভাপতি অধ্যক্ষ সালমা আহমেদ হীরা।
সভায় বক্তারা, আমাদের জাতীয় জীবনে কাজী নজরুল ইসলামের অবদানের কথা শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন। তারা বলেন, কবি নজরুল আমাদের জাতীসত্তার সাথে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িয়ে আছেন। আজকে আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশের এই স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, মূল্যবোধের অন্যতম প্রেরণা ছিলেন কাজী নজরুল ইসলাম। বিদ্রোহী কবি হিসাবে খ্যাত কবি নজরুল ইসলামী মূল্যবোধে বিশ্বাসী হয়েও সাম্প্রদায়িকতার উর্ধ্বে ছিলেন। বৃটিশ শাসনামলের সেই বৈরী পরিবেশে থেকেও চিরবিদ্রোহী নজরুলই প্রথম স্বাধীনতার কথা উচ্চারণ করে অজস্র কবিতা, গান রচনা করেছিলেন নির্যাতিত নিপীড়িত জনতার পক্ষে তাঁর লেখা বিশ্বসাহিত্যাঙ্গনের অমূল্য সম্পদ।
সভায় বক্তারা দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, জাতীয় কবির মর্যাদা পেলেও জাতীয় পর্যায়ে আজো কবি নজরুলের যথার্থ মূল্যায়ন হচ্ছে না।
পরিশেষে সভায় নজরুলের যথাযোগ্য মর্যাদার জন্য শুধু মৌখিক নয় জাতীয় কবি হিসাবে নজরুলের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির দাবিসহ সারা বিশ্বে একই দিনে কবি নজরুলের জন্ম-মৃত্যু পালনের লক্ষ্যে চলমান বাংলা বর্ষপঞ্জি সংস্কার করারও দাবী করেন। সবশেষে কবির রুহের মাগফেরাত কামনায় দোয়া আপ্যায়নের মাধ্যমে অনুষ্ঠান সুসম্পন্ন হয়।
উল্লেখ্য সংগঠনের উদ্যোগে সকাল ৮টায় জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের সমাধিতে সংগঠনের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানানো হয়। অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কবি মানিকচক্রবর্তী, কবি শাকিল হাসান, রিয়াদ মাহমুদ খান। এছাড়াও সংগঠনের উদ্যোগে মানিকগঞ্জে কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক টিমুনী খান রীনোর সভাপতিত্বে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।