নিউজবাংলা ডেস্ক:

ভুক্তভোগী এক নারীর সম্ভ্রম রক্ষায় এবার যুগান্তকারী রায় ঘোষণা করেছেন মাগুরার মুখ্য বিচারিক হাকিম জিয়াউর রহমান। মামলার রায়ে ভুক্তভোগী নারীর সম্মান রক্ষার্থে প্রতীকী নাম ব্যবহার করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন তিনি। দেশের বিচার ব্যবস্থায় বিচারপ্রার্থীর নিজ নামের পরিবর্তে প্রতীকী নামে রায় ঘোষণার ইতিহাস এটিই প্রথম বলে দাবি সংশ্লিষ্টদের।

বাদী পক্ষের আইনজীবী ওয়াজেদা বেগম বলেন, অশ্লীল ছবি সংরক্ষণ এবং প্রচারের অভিযোগে ২০১৭ সালে কলেজপড়ুয়া এক ছাত্রী মামলা দায়ের করেন। দায়েরকৃত মামলায় তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে সোমবার আসামি যুবায়ের হোসেনকে দোষী সাব্যস্ত করে ২ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এই জরিমানার অর্থ ক্ষতিপূরণ হিসেবে ভিকটিম পাবেন বলে নির্দেশনা দিয়েছেন বিচারক। আর রায়ে ভুক্তভোগী মেয়েটির প্রকৃত নাম উল্লেখ না করে প্রতীকী নাম হিসেবে ‘কল্প’ উল্লেখ করা হয়েছে।

আলোচিত এই মামলার আসামি পক্ষের আইনজীবী শফিকুজ্জামান বাচ্চু বলেন, আমাদের দেশেও নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন-২০০০ এর ১৪ ধারা অনুযায়ী ভিকটিমের পরিচয় প্রকাশ পায় এমন কিছু প্রকাশ নিষিদ্ধ। কিন্তু কেউ মানছে কেউ মানছে না। এ অবস্থায় ভিকটিমের পরিচয় প্রকাশ না করে রায় প্রদানের ঘটনা অবশ্যই একটি ইতিবাচক দিক।

উল্লেখ্য, ইতোপূর্বে ৩টি মামলার রায়ে বিচারক জিয়াউর রহমান প্রচলিত কারাদণ্ডের পরিবর্তে গাছ লাগানো ও মুক্তিযুদ্ধের বই পড়ার ব্যতিক্রমী রায় দিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here