ঢাকা: দেশে গণতন্ত্রের ধারা অব্যহত রাখতে সব দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ রবিবার দুপুরে, গণভবণে যুবলীগের ৪৬ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে সংগঠনটির নেতাকর্মীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে এ আশার কথা জানান তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ফের ক্ষমতায় এলে দেশের দারিদ্রের হার অন্তত আরও ৫ ভাগ কমিয়ে আনা হবে। এজন্য সরকারের ধারাবাহিকতা থাকা গুরুত্বপুর্ণ। তিনি বলেন, দেশ স্বাধীন হলেও, নানা প্রতিবন্ধকতায় বারবার ব্যহত হয়েছে দেশের অগ্রযাত্রা।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী অভিযোগ করেন, নুর হোসেনের মতো তরুণের রক্তে যে বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়, সেখানে স্বাধীনতাবিরোধীদের গাড়িতে পতাকা তুলে দিয়েছিলো বিএনপি। তিনি দাবি করেন, আওয়ামী লীগ যখনই সরকার গঠন করে তখনই তৃণমূলের মানুষের ভাগ্য উন্নয়নকে প্রাধাণ্য দিয়ে কাজ করে ।
এ সময় ত্যাগের মনোভাব নিয়ে দেশের জন্য কাজ করতে যুবসমাজের প্রতি আহ্বান জানান শেখ হাসিনা। পাওয়া না পাওয়ার হিসেব না কষে জনগণের জন্য কাজ করার আহ্বান জানান যুবকদের।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মানুষের জীবনযাত্রা পরিবর্তনে প্রতি মুহূর্তে চেষ্টা করে যাচ্ছি, তৃণমূল একজন মানুষও যেন বেকার না থাকে।’ তিনি বলেন, ‘শ্রম দেয়ার মত আমাদের যুবসমাজ আছে। যুবসমাজকে যেন চাকরির পেছনে ঘুরে বেড়াতে না হয়, তারাই যেন অন্যকে চাকরি দিতে পারে- তাদের মধ্যে সে আত্মবিশ্বাস নিয়ে আসতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যারা ৭১-এ বাঙালির বিজয়কে সহ্য করতে পারেনি, তারাই ১৫ই আগস্টের হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। তারা জাতির পিতাকে হত্যা করেই ক্ষান্ত হয়নি, হাজার হাজার সেনা সদস্য ও মুক্তিযোদ্ধাকেও হত্যা করেছে। এসব হত্যাকাণ্ডের ফলে দেশ অনেক পিছিয়ে গেছে।’
দীর্ঘ ২১ বছর বিএনপি-জামাত জোট ক্ষমতায় থাকলেও মানুষের ভাগ্য ফেরেনি-এমন অভিযোগ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, রক্ত দিয়েই আমরা গণতন্ত্র ফিরিয়ে এনেছিলাম, কিন্তু বিএনপি রাজাকারদের ক্ষমতায় বসিয়ে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে। বিএনপি বাংলাদেশের মানুষের কোটি কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে বলেও মন্তব্য করেন শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সরকারের দৃঢ়তার কারণেই দস্যুমুক্ত সুন্দরবন সন্ত্রাসমুক্ত দেশ গড়া সম্ভব হয়েছে। তাই পাওয়া না পাওয়ার হিসেব না কষে জনগণের জন্য কাজ করুন। ’ ডেল্টা প্ল্যানের আলোকে বাংলাদেশ একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে বিশ্বের বুকে প্রতিষ্ঠিত হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন শেখ হাসিনা।