
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন ও দক্ষিণ সিটির কাউন্সিল নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে সম্পন্ন হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. দীপু মনি। গতকাল ধানমণ্ডিতে দলের সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে নির্বাচন শেষে দলীয় ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন। দলের পক্ষে সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের প্রতিক্রিয়া জানানোর কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত দীপু মনি প্রেস কনফারেন্স করেন।
এসময় তিনি বলেন, শান্তিপূর্ণ পরিবেশে জনগণ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন । সকল ভোটার, নির্বাচনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও নির্বাচন কমিশনকে ধন্যবাদ জানাই। দীপু মনি বলেন, এখন পর্যন্ত কোথাও আমরা অনভিপ্রেত ঘটনার সংবাদ পাইনি। নির্বাচন কমিশনের তথ্য মোতাবেক শতকরা ৫০ ভাগের মতো ভোট পড়েছে বলে আমরা জেনেছি। নির্বাচনের প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, আমরা এখনও ফলাফল জানিনা তবে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আতিকুল ইসলাম জিতে যাবেন বলে আমরা আশা করছি।
দেশ যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে ঢাকা সিটিসহ সারা দেশে উন্নয়ন কার্যক্রম চলছে। দেশের এই উন্নয়ন অগ্রগতির সঙ্গে মানুষ থাকতে চায়। কাজেই আমরা বিশ্বাস করি, আজকে জনগণ ভোট দিয়েছেন।
একটি সুন্দর ঢাকা পেতেই তারা ভোট প্রয়োগ করেছেন। বিরোধী দলবিহীন নির্বাচন কতটা উপভোগ করেছেন জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাাদক বলেন, বিরোধী দল বলতে গণতন্ত্রে যা বোঝায়, সংসদীয় গণতন্ত্রে সংসদে যারা বিরোধী দল। সংসদে যারা বিরোধী দল হিসেবে আছে সে দলটি নির্বাচনে অংশ নিয়েছে। এর বাইরে একটি রাজনৈতিক দল আছে, তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার মতো সকল প্রকার পরিবেশ পরিস্থিতি বজায় থাকার পরেও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া থেকে নিজেদের বাইরে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তারা একের পর এক এই সিদ্ধান্ত নিচ্ছে।
দেশের অগ্রগতিতে বাধা সৃষ্টিতে তারা চেষ্টা করছে। ভোটবাক্স সকালেই ভরে রাখা হয়েছিল বিএনপির এমন অভিযোগে তিনি বলেন, তাদের এই মন্তব্য রাতেই তৈরি ছিল। নির্বাচনে ভোটারদের উপস্থিতি কম থাকা বিষয়ে জানতে চাইলে দীপু মনি বলেন, উপ-নির্বাচনের কারণেই জনগণের আগ্রহ কিছুটা কম ছিল। ভাষানটেক বস্তির ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে তিনি বলেন, ক্ষতিগ্রস্তদের প্রয়োজনীয় সহযোগিতা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় থেকে করা হবে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজ্জাম্মেল হক, এনামুল হক শামীম, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী প্রমুখ।