বাংলা নিউজ  ডেস্ক

মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহকারী মুখপাত্র রবার্ট পালাদিনো গত ২১ ডিসেম্বর এক বিবৃতিতে বলেছিলেন, যথাসময়ে এএনএফআরইএলের পর্যবেক্ষকদের ভিসা ও অনুমোদন দিতে ব্যর্থ হওয়ায় বাংলাদেশ সরকারের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র হতাশ। তার ভাষ্য, এই বিলম্বের কারণেই ‘এএনএফআরইএল ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনে পর্যবেক্ষক পাঠানোর সিদ্ধান্ত বাতিল করেছে।’ সংস্থাটি মার্কিন অর্থায়নে পরিচালিত।
এর প্রতিক্রিয়ায় ২৩ ডিসেম্বর প্রকাশিত বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিবন্ধন থাকা সব রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করছে। নির্বাচন কমিশন এখন পর্যন্ত ১১৮টি স্থানীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষণ সংস্থার প্রায় ২৬ হাজার পর্যবেক্ষককে অনুমোদন দিয়েছে। আবেদনকারীদের মধ্যে ১৭৫ জন বিদেশি পর্যবেক্ষককে অনুমোদন দেওয়া হয়ে গেছে এবং বাকিদের অনুমোদন প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এএনএফআরইএলের প্রায় অর্ধেক পর্যবেক্ষক অনুমোদন পেয়েছেন।

এএনএফআরইএলের প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য যে বাংলাদেশি এনজিও ‘অধিকার,’ তা উল্লেখ করে মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে দাবি করা হয়েছে, বাংলাদেশ ও আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ‘অধিকারের’ মাত্রাহীন পক্ষপাতিত্ব সবারই জানা। অক্টোবর ও ডিসেম্বরে প্রকাশিত প্রতিবেদন ছাড়া আরও অনেক প্রতিবেদনে এই পক্ষপাতিত্বের প্রমাণ স্পষ্ট। তাছাড়া, অধিকারের উচ্চপর্যায়ের একজন কর্মকর্তা বিএনপি-জামায়াত সরকারের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ পেয়েছিলেন। এর ভিত্তিতেই অধিকার ও তার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের নির্বাচন পর্যবেক্ষণের আবেদন বাতিল করা হয়েছে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় লিখেছে, বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ গণতন্ত্রের দেশ হিসেবে বাংলাদেশ অন্যদের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। বাংলাদেশ তার গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার বিষয়ে সহযোগী ও বন্ধুদের কাছ থেকে আসা গঠনমূলক সমালোচনাকে স্বাগত জানাবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here