নিউজ বাংলা ডেস্ক:
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয়ের রেকর্ড গড়ার পর চমক লাগানো মন্ত্রিসভার সব সদস্য শপথ নেন গত ৭ জানুয়ারি এবার নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যরা পছন্দ অনুযায়ী একান্ত সচিব (পিএস) পাননি। তবে অন্যান্য সময়ের মতো পছন্দের সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) পাবেন তারা। জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন এ তথ্য জানান।

একই সঙ্গে এপিএসও সরকারের ইচ্ছা অনুযায়ী দেয়া হচ্ছে বলে গুঞ্জন ছিল। কারণ, এ সংক্রান্ত ফাইল প্রধানমন্ত্রীর বিবেচনাধীন ছিল। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী আগের মতোই এপিএস নিয়োগ দেয়ার পক্ষে মত দেন। সেই বিষয়টিই নিশ্চিত করেছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী।

বৃহস্পতিবার দুপুরে নিজ দফতরে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘মধ্যম আয়ের দেশে পৌঁছাতে সময়ের প্রয়োজনে যে লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে, সেই লক্ষ্য বাস্তবায়নের স্বার্থে যাচাই-বাছাই করে সৎ, যোগ্য এবং পরীক্ষিত কর্মকর্তাদের একান্ত সচিব নিয়োগ দেয়া হয়েছে। আশা করছি আগামীতে এই নতুন ব্যবস্থাটিই বহাল থাকবে।’

তিনি বলেন, ‘তবে আগের মতোই মাননীয় মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রীদের পছন্দ অনুযায়ী এপিএস নিয়োগ দেয়া হবে।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ইচ্ছা অনুযায়ী এবার মন্ত্রিসভার সদস্যদের মতামত ছাড়াই পিএস নিয়োগ দেয়া হয়েছে। মূলত মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রীদের তদারকির অংশ হিসেবে অনেক ভেবেচিন্তে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।

এ ছাড়া গত দু’টি মন্ত্রিসভার কোনো কোনো সদস্য পিএস ও এপিএসের কারণেও বিতর্কিত হয়েছেন। কোনো কোনো পিএস ও এপিএসের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, নিয়োগ বাণিজ্যসহ নানা ধরনের অভিযোগও ওঠে। এবার সেই বিষয়গুলো এড়ানোর জন্য মন্ত্রিসভার সদস্যদের মতামত ছাড়াই পিএস-এপিএস নিয়োগের উদ্যোগ নেয়া হয়।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা জানান, মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রীদের পিএস হিসেবে উপসচিব পদমর্যাদার কর্মকর্তাদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নিয়োগ দেয়া হয়। এ ছাড়া মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রীরা পছন্দ মতো পিএস নিয়োগ দিতে পারতেন। তবে সে কর্মকর্তা প্রথম শ্রেণির পদমর্যাদার নিচে হতো না।

তবে সিনিয়র সহকারী সচিব পদমর্যাদার কর্মকর্তারা মন্ত্রিসভার সদস্যদের এপিএস হতে পারেন। কিন্তু এপিএস নিয়োগ দেয়ার বিষয়টি মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রীদের সম্পূর্ণ ইচ্ছার ওপর নির্ভরশীল বলেও জানান ওই কর্মকর্তা। তিনি বলেন, মন্ত্রিসভার সদস্যরা সাধারণত রাজনৈতিক বিবেচনায় এপিএস নিয়োগ দিয়ে থাকেন।

তিনি আরও বলেন, মন্ত্রিসভার সদস্যরা পছন্দ মতো এপিএস নিয়োগ দিতে আধা সরকারি পত্র দিলে সেটার ওপর ভিত্তি করে নিয়োগের প্রজ্ঞাপন জারি করবে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

গত সোমবার ৪৭ সদস্যের মন্ত্রিসভা গঠন করা হয়। সেখানে প্রধানমন্ত্রী ছাড়া ২৪ জন মন্ত্রী, ১৯ জন উপমন্ত্রী ও তিনজন উপমন্ত্রী রয়েছেন। নতুন মন্ত্রিসভায় আগের মন্ত্রিসভার ১৫ জন সদস্য রয়েছেন, তাদের আগের পিএসও পরিবর্তন করে নতুন পিএস দিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here