নিউজবাংলা ডেস্ক:

চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা বাতিল হলেও শিক্ষার্থীরা নির্দিষ্ট সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারবেন বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। জেএসসি-জেডিসি এবং এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার গড় নম্বর মূল্যায়ন করে প্রকাশিত এইচএসসির ফলাফলের ভিত্তিতে নির্ধারিত সময়ে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারবে বলে জানান তিনি।

পরীক্ষা না-কি মূল্যায়নের ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করা হবে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী।

বুধবার দুপুর ১টার দিকে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানাতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী এসব জানান।

মন্ত্রী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষার ক্ষেত্রে গুচ্ছ পদ্ধতি অনুসরণ করা হবে নাকি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো তাদের নিজ নিজ প্রক্রিয়া অবলম্বন করবে সেটা পরিস্থিতি বলে দেবে। এখনও বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তির জন্য হাতে দুই মাস সময় রয়েছে। এর মধ্যে পরিস্থিতি অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেয়া যাবে।

তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের আগের দুটি পাবলিক পরীক্ষার নম্বর মূল্যায়ন পদ্ধতি ও গ্রেড নির্ণয় এবং বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি সংক্রান্ত বিষয়ে পরামর্শ দিতে একটি কমিটি গঠন করা হবে। সে কমিটির পরামর্শের ভিত্তিতে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। যেহেতু এসএসসি পরীক্ষা হচ্ছে না সেহেতু একজন শিক্ষার্থীকে মূল্যায়নের ফাইনাল ধাপ হবে বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি। এক্ষেত্রে পরামর্শক কমিটির সিদ্ধান্তকে গুরুত্ব দেয়া হবে।

এর আগে মন্ত্রী স্থগিত থাকা এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা সরাসরি না নিয়ে এসএসসি এবং জেএসসির ফলের গড় ভিত্তিতে মূল্যায়নের সিদ্ধান্তের কথা জানান।

মন্ত্রী বলেন, এসএসসি এবং জেএসসির ফল অনুযায়ী গড়ভিত্তিতে মূল্যায়ন করে ফলাফল নির্ধারণের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। অনেক এসএসএসি পরীক্ষার্থী এইচএসসিতে ভিন্ন বিভাগে যান। সেক্ষেত্রে তাদের বিষয়ে কী হবে সেজন্য আমরা সিদ্ধান্ত নেব। ডিসেম্বরের মধ্যেই চূড়ান্ত ফল ঘোষণা করা হবে। যাতে জানুয়ারি থেকে বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি কার্যক্রম শুরু হতে পারে।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মাহবুব হোসেন, কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব আমিনুল ইসলাম খান এবং সব শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানরা সংযুক্ত ছিলেন।

এবার এইচএসসি-সমমান পরীক্ষায় ১৩ লাখ ৬৫ হাজার ৬৮৯ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণের কথা ছিল। এর মধ্যে নিয়মিত ১০ লাখ ৭৯ হাজার ১৮১ এবং অনিয়মিত ২ লাখ ৬৬ হাজার ২০৮ জন রয়েছেন। এদের মধ্যে কেউ কেউ এক-দুই বিষয়ে অকৃতকার্য হলে আবারও পরীক্ষা দেয়ার কথা ছিল। প্রাইভেট পরীক্ষার্থী ৩ হাজার ৩৯০ এবং খারাপ ফলের কারণে ১৬ হাজার ৭২৭ জন পুনরায় পরীক্ষা দেয়ার কথা ছিল।

 

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here