নিউজবাংলা ডেস্ক
মুজিববর্ষ উপলক্ষে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় ও জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র আয়োজিত ‘পড়ি বঙ্গবন্ধুর বই, সোনার মানুষ হই’ শীর্ষক বই পাঠ কার্যক্রমের ধারাবাহিক আঞ্চলিক পুরষ্কার বিতরণী কার্যক্রমের অংশ হিসেবে সোমবার রাজধানীর পলাশপুরের অনিবার্ণ পাঠাগারে উক্ত বই পাঠকার্যক্রমে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের সনদ, চেক ও পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
আঞ্চলিক পুরষ্কার বিতরণীর এবারের পর্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের পরিচালক মিনার মনসুর। এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন ইয়থ এমপাওয়ারমেন্ট ফ্যাসিলিয়েশনের প্রতিষ্ঠাতা সহযোগী অধ্যাপক প্রফেসর কাজী হাসান রবিন, দনিয়া পাঠাগারের সভাপতি মোহাম্মদ শাহনেওয়াজসহ আরও অনেকে।
জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র আয়োজিত তিন মাসব্যাপী এ পাঠকার্যক্রমে রাজধানীর ১০ পাঠাগারের ১৫০ জনশিক্ষার্থী অংশ নেন। অনির্বাণ পাঠাগার ওই ১০ পাঠাগারের অন্যতম। এ প্রতিযোগিতায় মাধ্যমিক শ্রেণির শিক্ষার্থীদের পাঠের জন্য নির্ধারিত ছিল বঙ্গবন্ধুর ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ বইটি, উচ্চমাধ্যমিকের শিক্ষার্থীরা পড়েন ‘কারাগারের রোজনামচা’ আর বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের জন্য নির্ধারিত ছিল ‘আমার দেখা নয়াচীন’ বইটি।
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের ও পরিচালক মিনার মনসুর বলেন, আমরা বড় বড় দালান-অট্রালিকা চাইনা আমাদের পাঠাগার প্রয়োজন যেখানে মানুষ বই পড়বে, জ্ঞানের প্রসার হবে। এছাড়া তিনি আরও বলেন,“বইপড়ার বিকল্প নেই আর তাই আমাদের প্রতিটি পাড়ায়-মহল্লায় পাঠাগার গড়ে তুলতে হবে।” পাঠাগার আন্দোলনকে বেগবান করতে তিনি অ্যাপার্টমেন্ট ভিত্তিক পাঠাগার চালুর ব্যাপারেও পরামর্র্শ দেন।
পুরষ্কারপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের শুভকামনা জানিয়ে অনিবার্ণ পাঠাগারের সভাপতির রুহুল আমিন সুজন বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর বই পড়ে তাঁর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে সোনার বাংলা গঠনে শিক্ষার্থীদের নিজেদের গড়ে তুলতে হবে।’ বক্তব্যে তিনি উক্ত অনুষ্ঠানের আয়োজক জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র ও পৃষ্ঠপোষক সংস্কৃতি বিষয়কমন্ত্রণালয় এর প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
এর আগে গত ২০ ডিসেম্বর কেন্দ্রীয়ভাবে জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রে মিলনায়তনে এই বই পাঠকার্যক্রমে অংশগ্রহণকারী রাজধানীর ১০ টি পাঠাগারের সেরা ২১জন শিক্ষার্থীর হাতে সনদ ও পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। অনিবার্ণ পাঠাগারের পক্ষ থেকে নাফিস উল্লাহ সেরা ২১ জনের মধ্যে স্থান লাভ করে। কেন্দ্রীয়ভাবে সেরাদের পুরষ্কার বিতরণী সমাপ্তির পরে ধারবাহিকভাবে পাঠাগার গুলোতে আঞ্চলিক পুরষ্কার বিতরণীর আয়োজন করছে জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রে।