নিউজবাংলা ডেস্ক:

পাকিস্তানের আলোচিত মানবাধিকার কর্মী কারিমা বালুচের মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় কোনো ‘অপরাধের যোগসূত্র’ পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে দাবি করেছে কানাডার পুলিশ।

টরেন্টো পুলিশের এক সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতি তদন্ত করে এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন পুলিশ কর্মকর্তারা।  তবে একাধিক আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা এ ঘটনার আরও গভীর তদন্ত দাবি করেছে। খবর আলজাজিরার।

পাকিস্তান রাষ্ট্র ও সেনাবাহিনীর কঠোর সমালোচক বিশেষ করে গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদী কণ্ঠস্বর অধিকারকর্মী কারিমা বালুচ। তিনি পাকিস্তান থেকে নির্বাসিত হয়ে কানাডায় বসবাস করছিলেন।  ‘নিখোঁজ’ থাকার পর সোমবার তার মরদেহের সন্ধান পাওয়ার কথা জানায় কানাডার পুলিশ।  নিখোঁজ হওয়ার আগে তিনি হুমকি পেয়ে আসছিলেন।

টরেন্টো পুলিশের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, কারিমার মৃত্যুর ঘটনা তদন্ত করা হয়েছে। পুলিশ সদস্যরা নিশ্চিত হয়েছেন যে, তার মৃত্যুতে  অপরাধ সংগঠনের কোনো আলামত নেই।  তার অপরাধহীন মৃত্যু হয়েছে বলে সিদ্ধান্ত পৌঁছেছেন কর্মকর্তারা। এই সিদ্ধান্তের কথা তার পরিবারের সদস্যদের জানানো হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

তবে পুলিশের এই তদন্তের বিষয়ে কারিমার পরিবারের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।  তবে তার লাশ পাওয়ার পর ৩৭ বছর বয়স্ক এই তরুণীর স্বামী হামাল হায়দার আলজাজিরাকে বলেছিলেন, কারিমা হত্যার হুমকি পেয়ে আসছিলেন বহু দিন ধরে।

পাকিস্তান রাষ্ট্র ও সেনাবাহিনীর কঠোর সমালোচক অধিকারকর্মী কারিমা বালুচ গত রবিবার নিখোঁজ হওয়ার পর তার সন্ধান চেয়ে আবেদন জানায় পুলিশ। পরে তার বন্ধুরা মৃতদেহ পাওয়ার কথা জানায়। এ ঘটনা তদন্তের আহ্বান জানায় বিভিন্ন মানবাধিকার গ্রুপ।

পাকিস্তানের পশ্চিমাঞ্চলীয় বেলুচিস্তানের রাজনৈতিক কর্মী কারিমা বালোচ দেশটির সেনাবাহিনী এবং রাষ্ট্রের কট্টর সমালোচক ছিলেন।  তিনি ২০১৫ সালের শেষ দিকে কানাডায় পালিয়ে যান।  ২০১৭ সালে তিনি কানাডায় রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থীর মর্যাদা নিয়ে বসবাস করে আসছিলেন।

ক্যানাডার টরোন্টোতে নির্বাসিত কারিমা রোববার থেকে নিখোঁজ ছিলেন, পরে পুলিশ তার মৃতদেহ উদ্ধার করে।

কারিমা বালোচের মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত দাবি করেছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।

বিবিসি ২০১৬ সালে কারিমাকে উদ্দীপনা জাগানো ও প্রভাবশালী ১০০ নারীর তালিকায় স্থান দেয়।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here