নিউজবাংলা ডেস্ক
জাহিদুন্নবী এক প্রতিশ্রুতিশীল গদ্যলেখক। নরনারীর হৃদয় রহস্য, সবুজ প্রকৃতি, দ্বন্দ্বময় মানব জীবনের ঘটনা অপরিসীম শব্দের বিনুনীতে বর্ননাত্তক শিল্পকর্মে রূপায়িত করে ওউপন্যাসিক হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। আশপাশের মানুষ আর তাদের জীবনযাত্রাকে কাছে থকে দেখার চেষ্টা করেছেন। কল্পনাবিলাসী হয়ে কোনো অবান্তর প্রসঙ্গের অবতারণা তিনি করেননি।
নির্ভেজাল মানবিক প্রেম, শ্রেণি-বৈষম্যের দ্বন্দ্বে একটি জীবন কীভাবে ক্ষতবিক্ষত হয় তা তিনি উপস্থাপন করেছেন গভীর মমতায় , একেবারে হৃদয়মথিত করে। এবাবের বই মেলায় প্রকাশিত হয়েছে তার দ্বিতীয় উপন্যাস ‘একমুঠো স্বর্গ’। গল্পের নায়ক কাব্য মেধাবী বুয়েটের মেধাবী ছাত্র হওয়া সত্ত্বেও তৈষীকে ভালোবেসে অধিকার নিয়ে তার সামনে দাঁড়াতে পারেনি। অর্থবিত্তের কাছে পরাভব মানতে হয়েছিল তাকে। তার জীবন ভরে গিয়েছিল গভীর শুন্যতায় । তৈষীও তাকে ভালোবাসতো পাগলের মতো । অন্যপাত্রের সঙ্গে তৈষীর বিয়ে হয়ে যাওয়া আর নানা ঘটনা দুর্ঘটনায় দুটি জীবনে নেমে এসেছিল সুনামির ঝড়।
সত্যিকার ভালোবাসার মৃত্যু হয় না। একমুঠো স্বর্গীয় অনুভবে তারা দুজন দুজনকে ফিরে পেয়েছিল। তাদের জীবন আবার পূর্ণতায় ভরে গিয়েছিল। প্রেমের দুর্নীবার আকাঙ্ক্ষার কাছে কোনো বাধাই আর টেকেনি। এমন একটি নিটোল ভালাবাসার কাহিনি ‘একমুঠো স্বর্গ। গ্রন্থটি প্রকাশ করেছে কচিপাতা প্রকাশনী। বই মেলার স্টল নম্বর ১৩৬। বইয়ের প্রচ্ছদ করেছে অংকন তূর্য। প্রকাশক আলেয়া বেগম আলো জানান, লেখক জাহিদুন্নবী গল্প তৈরিতে অত্যন্ত দক্ষ। কাহিনি ও চরিত্র নির্মানে নিপূণ কারিগর। তিনি একদিন বড় লেখক হয়ে উঠবেন বলে আমি আন্তরিকভাবে বিশ্বাস করি।
কথাশিল্পী জাহিদুন্নবীর প্রথম উপন্যাস ‘যে ব্যথা মনের গভীরে’ পাওয়া যাচ্ছে কচিপতার স্টলেই। সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা জাহিদুন্নবী জানান, লেখালেখির অভ্যেসটা তার ছোটবেলার, পত্রপত্রিকা ম্যাগাজিনে লিখেছেন পুলিশে চাকরিরত অবস্থায়ই। ছিলেন নাট্যাভিনেতা। লেখালেখির মধ্যদিয়ে মানুষের মনে একটু জায়গা করে নিতে চান। মানুষের মনে যদি তার লেখা এতোটুকু রেখাপাত করে তবেই তিনি সার্থক। তিনি জানান, তার একমাত্র মেয়ের প্রেরণায়ই তার বই প্রকাশ করা সম্ভব হয়েছে। স্ত্রীর সহয়োগিতার কথাও তিনি অকপটে উল্লেখ করেন। বাকি জীবন লেখালেখির মধ্যদিয়েই তিনি কাটিয়ে দেয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করেন তিনি।