নিজস্ব সংবাদদাতা
নতুন করে তফসিল দিয়ে পুনরায় নির্বাচন করার কোনো সুযোগ নেই জানিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা বলেছেন, ‘আমরা আর নতুন করে নির্বাচন করব না। যে নির্বাচন করেছি, সেই নির্বাচন নতুন করে করার কোনো সুযোগ নেই।’
সোমবার বিকেল সাড়ে ৩টায় আগারগাঁওয়ের নির্বাচন কমিশন ভবনের মিডিয়া সেন্টারে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক ফল ঘোষণা উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন সিইসি।
ভোটের ব্যবধান প্রসঙ্গে সিইসি কে এম নূরুল হুদা বলেন, ‘এটা তো আমাদের দেখার কিছু নেই, বিশ্লেষণেরও কিছু নেই। ভোট তো আমরা দিইনি। জনগণই ভোট দিয়েছে।’
অন্তত দেড়শ কেন্দ্রে আগের রাতেই ভোট দেওয়া হয়েছে ঐক্যফ্রন্টের এমন অভিযোগের ব্যাপারে সিইসি বলেন, ‘এটা সম্পূর্ণ অসত্য কথা।’
ভোটকেন্দ্রে ‘লাঞ্চ বিরতি’ প্রসঙ্গে নূরুল হুদা বলেন, ‘এটা দেখতে হবে। এমনটা হওয়ার কথা নয। বিরতিহীনভাবেই ভোট হওয়ার নিয়ম। এ ধরনের অভিযোগ পেলে আমরা তদন্ত করে দেখব।’
এই নির্বাচনে ৩৯ নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করেছে। কিন্তু গ্রহণযোগ্যতার মাপকাঠিতে এই নির্বাচন নিয়ে আপনারা কোনো ক্ষেত্রে অতৃপ্ত কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, ‘না, আমরা অতৃপ্ত না, তৃপ্ত। সারা দিন আপনাদের মাধ্যমেই, টেলিভিশনের মাধ্যমে নির্বাচনের অবস্থা দেখেছি। ব্যাপকভাবে অনিয়ম হয়েছে এমন কিছু আমরা পাইনি। তবে আমরা যেখানে অনিয়ম পেয়েছি, সেখানে নির্বাচনই বন্ধ করে দিয়েছি। দেশি-বিদেশি কোনো গণমাধ্যমে অনিয়ম দেখতে পাইনি।’
ভোটবাক্স ভর্তি, অবাধে সিল মারা, প্রধান ফটক বন্ধ করে ভেতরে ভোট নেওয়া, ঢাকার অধিকাংশ আসনেই বিরোধী প্রার্থীর এজেন্টকে বের করে দেওয়া, ভোটারদের ঢুকতে না দেওয়া এসব অভিযোগ প্রসঙ্গে সিইসি নূরুল হুদা বলেন, ‘দু-একটা কেন্দ্রে বিচ্ছিন্ন ঘটে থাকলে সেটা আমরা তদন্ত করে দেখব।’ এই নির্বাচনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ইসি সফল বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
পুরো কমিশন সন্তুষ্ট কি না জানতে চাইল সিইসি বলেন, ‘হ্যাঁ, অবশ্যই পুরো কমিশন সন্তুষ্ট। কেউ তো আমাকে অসন্তুষ্টির কথা বলেনি।’