নিউজ বাংলা ডেস্ক:
১০ই এপ্রিল স্বাধীন রাষ্ট্রের ঘোষণা দিবসে আলোচনা সভা ও গন-ইফতার কর্মসূচি পালন করেছে এবি পার্টি। কেন্দ্রীয় কার্যালয় সংলগ্ন বিজয় ৭১ চত্বরে এবি পার্টির অফিস সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুল্লাহ আল মামুন রানা’র সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন এবি পার্টির যুগ্ম-আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রফেসর ডাক্তার মেজর (অব.) আব্দুল ওহাব মিনার। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আলতাফ হোসাইন। ইফতারের পূর্বে গনস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর সুস্থতার জন্য বিশেষ দোয়া মুনাজাত পরিচালনা করেন এবি পার্টির সহকারী সদস্য সচিব শাহ আব্দুর রহমান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রফেসর ডা. আব্দুল ওহাব মিনার বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গনমাধ্যমের কন্ঠরোধ স্বাধীন রাষ্ট্রে অনাকাঙ্খিত। সত্য প্রকাশের জন্য সাংবাদিকদেরকে হ্যানস্তা করা অগনতান্ত্রিক। আমাদের ভাষা ও ভোটের অধিকার রক্ষার জন্য যে সংগ্রাম শুরু হয়েছিল তা পূর্ণতা পেয়েছে ১৯৭১ সালের আজকের এই দিনে। জনগণের উপর পাকিস্তানের যে জুলুম, নির্যাতন, নিষ্পেষণ চলেছিল তা এখনও চলমান আছে, এজন্য দেশ স্বাধীন হয় নাই। এই দেশকে পরিবর্তন করতে হবে। এবি পার্টি ক্ষমতায় এলে কোনো মানুষ ফুটপাতে ঘুমাবে না। না খেয়ে দিনাতিপাত করবে না। সবার জন্য বাড়ি করে দেওয়া হবে। খাবারের নিশ্চিয়তা দেওয়া হবে। শিক্ষা এবং চিকিৎসার সুব্যবস্থা করা হবে।
সভাপতির বক্তব্যে অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম বলেন, প্রথম আলোর বিরুদ্ধে সংসদ অধিবেশনে বিষোদগার প্রজাতন্ত্রের স্বার্থবিরোধী। মুজিবনগরের স্বাধীন রাষ্ট্র গড়ার ঘোষণাপত্রের মূলনীতি ছিল সাম্য মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক সুবিচারের ভিত্তিতে আমরা নতুন দেশ গঠন করব। স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র এজন্য পাঠ করা হয়নি যে নেতা মন্ত্রীদের ছেলেরা উন্নত জীবনযাপন করবে আর আমার দরিদ্র পরিবারের গরীব ঘরের ছেলেরা ফ্লাইওভারের নিচে বসে ক্ষুধার কথা ভুলে থাকার জন্য নেশা করবে। এমপি মন্ত্রীরা দূর্নীতি করে আমাদের দেশের মানুষের সম্পদ বিদেশে পাচার করবে। স্বাধীনতার ঘোষণা পত্রে একথা উল্লেখ ছিল না। আমার এই গরিব ঘরের ছেলেরাও উন্নত জীবন চায়, রাষ্ট্রের দায়িত্ব হচ্ছে নাগরিকে জীবন মানের উন্নতি ঘটানো কিন্তু বিগত দিনের সরকাররা আমাদের নাগরিকদের অধিকার হরন করে তাদেরকে পথে বসিয়েছে, ফুটপাতে, ওভারব্রিজের নিচে থাকতে বাধ্য করে দেশকে যে সাম্যের দেশে পরিনত করার কথা ছিল তা তারা ধ্বংস করে দিয়েছে। আমরা বলছি এই বৈষম্যের সমাজের পরিবর্তন ঘটিয়ে সাম্যের সমাজে পরিনত করব।