ঢাকা: ইউরোপীয় সংসদীয় একটি প্রতিনিধি দল শনিবার সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছে। পরে এ বিষয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম।

তিনি বলেন, জিউসিপ্পে ফার্নান্দিনো ছয় সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন। বাংলাদেশের ইতিহাস এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরিবার সম্পর্কে জানতে পেরে অভিভূত হন তিনি। প্রধানমন্ত্রীকে জানান, তারা বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শন করেছেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৭৫ সালে জাতির পিতার হত্যাকাণ্ডের পর দেশে গণতন্ত্রের বিকাশ ব্যাহত হয়েছিল এবং এরপর দেশে দীর্ঘ সময় সামরিক শাসন বলবৎ ছিল। সে সময়কার সামরিক শাসকরা যুব সমাজের হাতে অস্ত্র তুলে দিয়ে তাদের বিভ্রান্ত করেছিল। ‘আমরা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নকে সফল করতে অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছি,’ যোগ করেন তিনি।

প্রতিনিধি দলের সদস্যরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে বিশেষ করে নারীর ক্ষমতায়নের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং তারা এ উন্নয়নের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে জানতে চান। প্রধানমন্ত্রী এ সময় প্রতিনিধি দলের সদস্যদের তার সরকারের নারীর উন্নয়ন ও ক্ষমতায়ন সম্পর্কে গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপ অবহিত করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা প্রতি মাসেই শিক্ষার্থীদের বৃত্তির টাকা মোবাইল ফোনের মাধ্যমে মায়েদের কাছে পৌঁছে দিচ্ছি, এছাড়াও প্রাথমিক পর্যায়ে শিক্ষক নিয়োগের শতকরা ৬০ ভাগ নারীদের থেকে নিয়োগ করা হচ্ছে।’

সন্ত্রাসের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার শক্ত হাতে এ সমাজিক ব্যাধিকে দমন করতে সক্ষম হয়েছে।

তিনি বলেন, তার সরকার বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার জনগণ যেমন- শিক্ষক-শিক্ষার্থী, ধর্মীয় নেতা এবং জনপ্রতিনিধিদের সমন্বয়ে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে গণসচেতনতা গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছে। তার সরকার জনগণের মৌলিক চাহিদাগুলো বিশেষ করে অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান এবং চিকিৎসা সেবার ব্যবস্থা করতে কঠোর পরিশ্রম করছে। তার সরকার দেশে খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য গবেষণার প্রতি গুরুত্বারোপ করেছে।

প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব সাজ্জাদুল হাসান এবং আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ এ সময় উপস্থিত ছিলেন। বাসস

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here