ঢাকা: ২০১৬ সালে গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলায় জড়িতদের বিচার প্রক্রিয়া দ্রুত শুরু করায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত বিদায়ী ইতালিয়ান রাষ্ট্রদূত মারিও পালমা। তিনি দেশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিট এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তাদের কর্তব্য নিষ্ঠারও প্রশংসা করেছেন।
মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তেজগাঁও কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বিদায়ী সাক্ষাৎকালে রাষ্ট্রদূত এই সন্তোষ প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, এ ধরনের ভয়াবহ ঘটনার বিচার প্রক্রিয়ায় আমাদের দেশেও সাধারণত দীর্ঘ সময় লাগে। যদিও বাংলাদেশ এই ঘটনায় জড়িতদের বিচারের আওতায় আনার ক্ষেত্রে খুব ভালো কার্য সম্পাদন করেছে।
হলি অর্টিজান বেকারির সেই সন্ত্রাসী হামলায় ২২ জন নিহত হয়। যাদের মধ্যে ৯ জন ছিলেন ইতালির নাগরিক।
সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে তার লাগাতার পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, সরকার সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে এবং মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই হলি অর্টিজান বেকারির ঘটনা নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী দু’দেশের মধ্যে সম্পর্ক ও সহযোগিতার ক্ষেত্রে সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং সম্পর্কের ধারাবাহিকতা রক্ষার প্রতি গুরুত্ব আরোপ করেন। প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম জানান এ তথ্য জানিয়েছেন।
ইতালির রাষ্ট্রদূত এ সময় বাংলাদেশের ছবির মতন সুন্দর গ্রামীণ জনপদ বিশেষ করে বাঘেরহাট, খুলনা এবং মোংলার পর্যটন কেন্দ্রগুলো, খানজাহান আলীর মাজার এবং লালন শাহের মাজার ও সেখানে বাউল মেলা প্রত্যক্ষ করা নিয়ে উচ্ছ্বাস ব্যক্ত করেন।
রাষ্ট্রদূত বলেন, তিনি ফকির লালন শাহের অনেক গানও নিজের মাতৃভাষায় অনুবাদ করেছেন। রাষ্ট্রদূত এ সময় কাজের জন্য বাংলাদেশি নাগরিকদের ইতালিতে বসবাসের প্রশংসা করে বলেন, তারা ইতালীয় সমাজ এবং অর্থনীতিতে অবদান রাখছে, এমনকি তারা এখন কৃষিক্ষেত্রেও অবদান রাখছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকারের প্রধান লক্ষ্যই হচ্ছে গ্রামীণ দরিদ্র জনগণের জীবনমানের পরিবর্তন এবং তাদের আর্থসামাজিক উন্নয়ন সাধন করা।
রাষ্ট্রদূত শেখ হাসিনা সরকারের গ্রামভিত্তিক উন্নয়নের রূপকল্পের প্রশংসা করে বলেন, ইতালি সরকারও গ্রামে জনগণের বসবাসের জন্য তাদের প্রণোদনা প্রদান করছে।
প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিকবিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী এবং মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।