নিউজ বাংলো ডেস্ক:
শিমলাবিশ্বের বিভিন্ন দেশের অভিনয়শিল্পী নিজেদের স্বপ্নপূরণে ঝাঁ চকচকে বলিউডে পাড়ি জমালেও ‘শখের বশে’ মুম্বাইয়ে থিতু হয়েছেন বলে জানালেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেত্রী শামসুন নাহার শিমলা।
তরুণ পরিচালক অর্পণ রায় চৌধুরীর ‘সফর’ নামে একটি হিন্দি চলচ্চিত্রের মধ্য দিয়ে বলিউডে যাত্রা করেন ঢাকার চলচ্চিত্রের অনিয়মিত এ অভিনেত্রী। গত বছরের শেষভাগে কলকাতা হয়ে মুম্বাইয়ের ভাড়া ফ্ল্যাটে উঠেছেন তিনি।
ছবির শুটিং ও ডাবিং ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে বলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন নির্মাতা অর্পণ।
মুম্বাইয়ে চলচ্চিত্রটির প্রচারণামূলক ফটোশুটের ফাঁকে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের মুখোমুখি হলেন শিমলা।
তিনি বলেন, “শখের বশে এখানে এসেছি। যতদিন ভালো লাগে ততদিন কাজ করবো। এখানেই সারাজীবন কাজ করতে হবে এমন না।”
‘সফর’র পর আপাতত নতুন কোনো চলচ্চিত্রে চুক্তিবদ্ধ হননি তিনি। “নতুন একটি ইন্ডাস্ট্রিতে এলে অনেক ধ্যান নিয়ে কাজ করতে হয়। আপাতত সবকিছু গুছিয়ে নিচ্ছি।”
বাংলাদেশি অভিনেত্রী হিসেবে মুম্বাইয়ে কাজ করতে গিয়ে ভাষাগত জটিলতায় পড়ার কথা জানালেন তিনি।
“কোর্স করে হিন্দি ভাষাটা রপ্ত করেছি। এখনও পুরোপুরি পারি না; চালিয়ে নেওয়া যায় আরকি। তাছাড়া কাজের জায়গাটা প্রায় একই রকম। আমাদের অভিনয়ই তো করতে হয়।”
বছর দুয়েক ধরে মুম্বাইয়েই বাস করছেন তিনি; সবশেষ গত ঈদুল আজহায় গ্রামের বাড়ি ঝিনাইদহের শৈলকুপায় ফিরে উট কোরবানী দিয়েছিলেন তিনি। তারপর আর দেশে ফিরেননি তিনি।
শিমলার মা নুরুন্নাহার জোৎস্না বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, তিনি নিজেও শিমলার সঙ্গে কিছুদিন মুম্বাইয়ে ছিলেন। সেখানে সে ভালোই আছে। মাস তিনেক আগে তিনি মেয়েকে রেখে দেশে ফিরেছেন।মাঝে তার সাবেক স্বামী পলাশের বিমান ছিনতাইয়ে চেষ্টার ঘটনায় এ অভিনেত্রীর নাম আলোচনায় আসে।
আলোচনাকে পাশ কাটিয়ে অভিনয়ে মনোযোগী হয়েছেন বলে জানান শিমলা। ঢাকার চলচ্চিত্রে তাকে কবে দেখা যাবে?
তিনি বলেন, “বাংলাদেশে আমার সব আছে। ভালো কোনো চলচ্চিত্রের অফার পেলেই দেশে ফিরবো। অন্যথায় আপাতত দেশের ফেরার কোনো পরিকল্পনা নেই।”
মুম্বাইয়ে যাওয়ার আগে তরুণ পরিচালক রুবেল আনুশের ‘নিষিদ্ধ প্রেমের গল্প’ নামে একটি চলচ্চিত্রের কাজ শেষ করেছেন। আরেক নির্মাতা রশিদ পলাশের ‘নাইওর’ নামে আরেক চলচ্চিত্রেও অভিনয় শুরু করেছিলেন এ অভিনেত্রী। কিন্তু প্রযোজকের অভাবে ছবিটি এখনও সম্পন্ন হয়নি বলে জানালেন তিনি।
“তবে ছবিটির জন্য পরিচালক এখনও আমাকে ‘না’ বলেননি। ফলে আনুষ্ঠানিকভাবে ছবিটি এখনও ছাড়িনি।”
১৯৯৯ সালে শহীদুল ইসলাম খোকন পরিচালিত ‘ম্যাডাম ফুলি’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে বড়পর্দায় অভিষেক হয় শিমলার। প্রথম ছবিতেই শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান তিনি। পরে ‘গঙ্গাযাত্রা’, ‘নেকাব্বরের মহাপ্রয়াণ’সহ বেশ কয়েকটি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি।