নিউজ বাংলা ডেস্ক: তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের ‘লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং ডেভেলপমেন্ট’ প্রকল্পটি দ্বিতীয় মেয়াদ শুরুর আগেই নানান অনিয়মের অভিযোগে বাতিল হয়েছিল। প্রায় এক বছর পর নতুন রুপে ফিরে এসেছে প্রকল্পটি। তবে এবারো শর্ট লিস্ট (সংক্ষিপ্ত তালিকা) করার সময় কিছু অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। যা পরবর্তীতে যুগান্তরের সিরিজ প্রতিবেদনে প্রকাশ করা হবে।২০১৬ সালের ১০ নভেম্বর থেকে বিপুলসংখ্যক শিক্ষিত তরুণ বেকার জনগোষ্ঠীকে তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিতে লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং ডেভেলপমেন্ট প্রকল্প শুরু করে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়। গত বছর জানুয়ারিতে এই প্রকল্পটির মেয়াদ ও বাস্তবায়ন ব্যয় বাড়ানোর অনুমোদন দেয় জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)।

দ্বিতীয় মেয়াদে নতুন করে প্রশিক্ষণ দিতে ১৩৯ কোটি ৩৭ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয় সরকার। সংশোধনীতে প্রকল্পের সময়সীমা গত বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়েছিল। গত বছর ৬ মে আইসিটি বিভাগের ওয়েবসাইটে তৎকালীন প্রকল্প পরিচালক মো. ইসমাইল হোসেনের স্বাক্ষরিত সংক্ষিপ্ত তালিকা প্রকাশের পর থেকেই নানান অনিয়মের অভিযোগ উঠে।এ বিষয়ে একাধিক প্রতিবেদন প্রকাশ করে যুগান্তর। এরপর প্রকল্পের অনিয়মের বিষয়ে তদন্ত করতে কমিটি গঠন করার নির্দেশ দেন তৎকালীন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। অনিয়মের অভিযোগ প্রমাণিত হলে প্রকল্পটি বাতিল করা হয়।

গত বছর ২১ নভেম্বর বিষয়টি তৎকালীন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারের ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রী সভা কমিটির বৈঠকে উত্থাপিত হলে ‘মূল্যায়ন সঠিক না হওয়ার কারণে’ প্রকল্পটি বাতিল ঘোষণা করা হয়।

প্রকল্প বাতিলের ৬ মাস পর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ ১৬ মে পুনরায় লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং ডেভেলপমেন্ট প্রকল্পের নতুন শর্ট লিস্ট (সংক্ষিপ্ত তালিকা) প্রকাশ করেছে। লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং ডেভেলপমেন্ট প্রকল্পের নতুন পরিচালক (উপসচিব) মো. আখতার মামুন স্বাক্ষরিত তালিকায় গতবারের কিছু কোম্পানির নাম এবারো দেখা গেছে।

প্রকাশিত তালিকায় থাকা কোম্পানিগুলোর নেতৃত্বাধীন কনসোর্টিয়ামের সহযোগী প্রতিষ্ঠানের তালিকা, তাদের যোগ্যতা, পাবলিক প্রকিউরমেন্ট বিধিমালা (পিপিআর) লঙ্ঘন, যোগ্যতা ছাড়াই একই কোম্পানি একাধিকবার তালিকায় স্থান পাওয়াসহ নানান সূক্ষ্ম বিষয় নিয়ে বিশ্লেষণ প্রতিবেদন প্রকাশ করবে যুগান্তর।

যুগান্তরে ধারাবাহিক প্রতিবেদনের অংশ হিসেবে প্রথম ধাপে ১৬ মে প্রকাশিত লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং ডেভেলপমেন্ট প্রকল্পের নতুন শর্ট লিস্টে আসা ১৫টি লটে স্থান পাওয়া নামের তালিকা এখানে দেয়া হলো-

প্রথম লটে রয়েছে চারটি কোম্পানি। এক্সটেন্ট আইটি ইন্সটিটিউট, কমজগত টেকনোলোজিস, মহিন আইটি লিমিটেড, আইবিসিএস-প্রিম্যাক্স এবং প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে রয়েছে তাদের নেতৃত্বাধীন কনসোর্টিয়ামের সহযোগী প্রতিষ্ঠান।

দ্বিতীয় লটে রয়েছে চারটি কোম্পানি। সিস্টেক কম্পিউটার লিমিটেড, বাংলাদেশ আইটি ইন্সটিউটিউট, হাইপার ট্যাগ সল্যুশন লিমিটেড, অ্যাপ্রোমেট্রি লিমিটেড এবং প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে রয়েছে তাদের নেতৃত্বাধীন কনসোর্টিয়ামের সহযোগী প্রতিষ্ঠান।

তৃতীয় লটে রয়েছে পাঁচটি কোম্পানি। রাজ আইটি সল্যুশন লিমিটেড, ইনফ্ল্যাক লিমিটেড, স্ট্যান্ডার্ড টেকনোলজি সোসাইটি লিমিটেড, এএইচসি অ্যান্ড কো লিমিটেড, লিওটেক এবং প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে রয়েছে তাদের নেতৃত্বাধীন কনসোর্টিয়ামের সহযোগী প্রতিষ্ঠান।

চতুর্থ লটে রয়েছে তিনটি কোম্পানি। মুবিন লিমিটেড, ই-জেনারেশন লিমিটেড, এন্টার টেকনোলজিস লিমিটেড এবং প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে রয়েছে তাদের নেতৃত্বাধীন কনসোর্টিয়ামের সহযোগী প্রতিষ্ঠান।

পঞ্চম লটে রয়েছে তিনটি কোম্পানি। সুশীলান আস সফটওয়্যার লিমিটেড, বাংলানেট টেকনোলজিস লিমিটেড এবং প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে রয়েছে তাদের নেতৃত্বাধীন কনসোর্টিয়ামের সহযোগী প্রতিষ্ঠান।

ষষ্ঠ লটে রয়েছে তিনটি কোম্পানি। এডুমেকার, একেআর টেকনোলজি, ভার্চুয়াল ডিজিটাল টেকনোলজিস লিমিটেড এবং প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে রয়েছে তাদের নেতৃত্বাধীন কনসোর্টিয়ামের সহযোগী প্রতিষ্ঠান।

সপ্তম লটে রয়েছে ছয়টি কোম্পানি। জেডিএমটিইএল লিমিটেড, এফজেড টেকনোলজিস লিমিটেড, সেমিকন প্রাইভেট লিমিটেড, ডিভাইন আইটি লিমিটেড, সাউথটেক লিমিটেড, অ্যারেনা ফোন (বিডি) লিমিটেড এবং প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে রয়েছে তাদের নেতৃত্বাধীন কনসোর্টিয়ামের সহযোগী প্রতিষ্ঠান।

অষ্টম লটে রয়েছে ছয়টি কোম্পানি। কিং আইটি লিমিটেড, টাইমস এএসএল কল সেন্টার লিমিটেড, আইএসওএল ৭১ লিমিটেড, ব্যাবিলন রিসোর্সেস লিমিটেড, ক্যাপাসিটি বিল্ডিং সার্ভিসেস গ্রুপ (সিবিএসজি), অ্যাডভান্স ইআরপি (বিডি) লিমিটেড এবং প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে রয়েছে তাদের নেতৃত্বাধীন কনসোর্টিয়ামের সহযোগী প্রতিষ্ঠান।

নবম লটে রয়েছে তিনটি কোম্পানি। বিটুএম টেকনোলজিস লিমিটেড, অপূর্ব টেকনোলজিস লিমিটেড, শের ভিনট্যাজ সল্যুশনস এবং প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে রয়েছে তাদের নেতৃত্বাধীন কনসোর্টিয়ামের সহযোগী প্রতিষ্ঠান।

দশম লটে রয়েছে চারটি কোম্পানি। বেস লিমিটেড, নোবেল আইটি সল্যুশন লিমিটেড, রেডিসন ডিজিটাল টেকনোলজিস লিমিটেড, নাইস পাওয়ার আইটি সল্যুশন লিমিটেড এবং প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে রয়েছে তাদের নেতৃত্বাধীন কনসোর্টিয়ামের সহযোগী প্রতিষ্ঠান।

একাদশ লটে রয়েছে পাঁচটি কোম্পানি। রেইজ আইটি সল্যুশন লিমিটেড, নিউ হরাইজনস সিএলসি অব বাংলাদেশ, রাইট টাইম লিমিটেড, টেকনোপ্যাক সিগমা সিস্টেমস লিমিটেড এবং প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে রয়েছে তাদের নেতৃত্বাধীন কনসোর্টিয়ামের সহযোগী প্রতিষ্ঠান।

দ্বাদশ লটে রয়েছে দুইটি কোম্পানি। নাগন আইটি লিমিটেড, ডিজিকন টেকনোলজিস লিমিটেড এবং প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে রয়েছে তাদের নেতৃত্বাধীন কনসোর্টিয়ামের সহযোগী প্রতিষ্ঠান।

ত্রয়োদশ লটে রয়েছে চারটি কোম্পানি। সার্ভিস ইঞ্জিন লিমিটেড, অ্যাপল সফট আইটি, ফিফো টেক, ভিস্তা সফট আইটি লিমিটেড এবং প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে রয়েছে তাদের নেতৃত্বাধীন কনসোর্টিয়ামের সহযোগী প্রতিষ্ঠান।

চতুর্দশ লটে রয়েছে তিনটি কোম্পানি। ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলোজি (এনআইইটি), ইউওয়াই সেস্টেম লিমিটেড, ই-মিডিয়া বাংলাদেশ লিমিটেড, এবং (প্রথমটা বাদে) প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে রয়েছে তাদের নেতৃত্বাধীন কনসোর্টিয়ামের সহযোগী প্রতিষ্ঠান।

পঞ্চদশ চতুর্দশ লটে রয়েছে দুইটি কোম্পানি। ইন্সটিটিউট অব প্রফেশনাল লার্নিং, কম্পিউটার ওয়ার্ল্ড বিডি এবং প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে রয়েছে তাদের নেতৃত্বাধীন কনসোর্টিয়ামের সহযোগী প্রতিষ্ঠান।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here