নিউজবাংলা ডেস্ক 

একতা কপূরের ধারাবাহিক ‘কিঁউ কি সাস ভি কভি বহু থি’ থেকে তাকে চিনেছিল দর্শক।

তার পর এখন রাজনীতিতে এসেও সফল তিনি, হয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। জীবনের দীর্ঘ চড়াই-উৎরাই ফিরে দেখেন যখন স্মৃতির মনে পড়ে যায় অপ্রিয় অতীতের কথা।

খাবারের দোকানে বাসন মাজার কাজ করতেন স্মৃতি। প্রতি মাসে বেতন পেতেন পনেরোশো টাকা। তবে সৌন্দর্য প্রতিযোগিতায় নির্বাচিত হওয়ার পর মুশকিলে পড়লেন।

প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য ১ লাখ টাকা প্রয়োজন ছিল তার। বাবার কাছ থেকে শর্তসাপেক্ষে ধার করেন সেই অর্থ।

স্মৃতির কথায়, বাবা একটা শর্তে টাকাটা দিয়েছিল। বলেছিল, সুদসমেত সেই টাকা তোমাকে ফেরত দিতে হবে। যদি না পারো, আমার পছন্দ করা ছেলেকে তোমার বিয়ে করতে হবে। আমি মেনে নিয়েছিলাম।

স্মৃতি জানান, প্রতিযোগিতা থেকে পাওয়া অর্থে তিনি ষাট হাজার টাকা ফেরত দিতে পেরেছিলেন, বাকি টাকা শোধ করতে তাকে চাকরি নিতে হয়েছিল।

বিজ্ঞাপনের কাজ করছিলেন বটে, কিন্তু স্থায়ী রোজগার দরকার ছিল। তখন ম্যাকডোনাল্ডসের আউটলেটে কাজে ঢোকেন তিনি। ধোয়ামোছার কাজ ছাড়া অন্য কাজ ওখানে ছিল না তখন। তিনি সেই কাজটাই নেন।

স্মৃতির কথায়, তখন দুটো স্লটে কাজ ছিল। কর্তৃপক্ষ জানান, ঝাড়পোঁছ, বাসন মাজা— এ সবই করতে হবে। আমি রাজি হয়ে যাই। পনেরোশো টাকা বেতন ঠিক হয়।

জানতে চেয়েছিলাম, এখানে পদন্নোতি কীভাবে হয়। আমার কথা শুনে এক নারী বলেছিলেন, আগে এক মাস কাজ তো করো!

স্মৃতি জানান, ছয় দিন কাজ করতেন সপ্তাহে। একদিন ছুটি থাকত। সেদিন তিনি অডিশন দিতে যেতেন। অডিশন দিয়েই তিনি পেয়েছিলেন ‘তুলসী’ চরিত্রটি, সেখান থেকেই অভিনেত্রী হিসাবে তার উড়ান শুরু হয়।

সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা

 

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here