বাংলাদেশ থেকে খোলা ৯টি পেজ ও ৬টি অ্যাকাউন্টসহ মোট ১৫টি পেজ ও অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দিয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক। বাংলাদেশের বিরোধী দলের বিপক্ষে বিভ্রান্তিমূলক তথ্য তথা গুজব ছড়ানোর দায়ে এদেরকে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার ফেসবুকের সাইবার নিরাপত্তা বিভাগের প্রধান নাথানিয়েল গ্লেইচার এ খবর জানিয়ে একটি ফেসবুক পোস্ট করেছেন।
সেখানে তিনি বলেন, ইন্টারনেটে নিরাপত্তা হুমকি মোকাবেলায় কাজ করে গ্রাফিকা নামে এমন একটি কোম্পানির সাহায্যে চালানো অনুসন্ধানের ভিত্তিতে আমরা বুঝতে পেরেছি যে এই পাতাগুলো স্বাধীন সংবাদমাধ্যমগুলোর মতো করে সাজানো হয়েছে। এগুলো থেকে সরকারের পক্ষে ও বিরোধী দলের বিরুদ্ধে বিভ্রান্তিকর পোস্ট দেয়া হতো এবং সেগুলোর প্রচারণা চালানো হচ্ছিলো।
ফেসবুক বলছে, আমাদের তদন্ত ইঙ্গিত করছে, এর সাথে যেসব ব্যক্তি জড়িত তাদের সাথে সরকারের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। ফেসবুক আরো জানিয়েছে, এসব পাতা একটিকে অন্তত ১১,৯০০ মানুষ অনুসরণ করত। একইসাথে, এসব পাতা নিজেদের বিজ্ঞাপনের জন্য মোট ৮০০ ডলার খরচ করেছে। প্রথম বিজ্ঞাপনটি দেয়া হয় ২০১৭ সালে এবং সর্বশেষ বিজ্ঞাপনটি দেয়া হয় গত নভেম্বর মাসে।
ফেসবুক নিউজরুমের এক রিপোর্টে বলা হয়, এক তদন্তের পর ‘সমন্বিতভাবে ভুয়াকার্যক্রমে লিপ্ত থাকার’ দায়ে এই ১৫টি পেজ ও অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
অ্যাকাউন্টগুলোর মধ্যে বিবিসি বাংলার মতো দেখতে একটি নকল অ্যাকাউন্টও রয়েছে। এতে যে ওয়েব ঠিকানা দেয়া হয় তা হলো BBC-BANGLA.COM কিন্তু বিবিসি বাংলার প্রকৃত ওয়েব ঠিকানা হলো www.bbc.com/bengali। আরেক অ্যাকাউন্টের নাম বিডিএসনিউজটুয়েন্টিফোর ডট কম – যা দেখলে অনেকের বিডিনিউজটুয়েন্টিফোর ডট কম বলে ভুল হতে পারে।
নাথানিয়েল গ্লেইচারের এক রিপোর্টে বলা হয়, অনলাইন গোয়েন্দা কোম্পানি গ্রাফিকার কাছ থেকে খবর পাওয়ার পর এর তদন্ত করে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ।
তদন্তে দেখা যায় যে বন্ধ করে দেয়া ওই পেজগুলো এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে – যেন তা কিছু স্বাধীন সংবাদ প্রতিষ্ঠানের মতোই দেখায়।
এতে আরো বলা হয়, ‘ফেসবুকের ‘মিসরিপ্রেজেন্টেশন পলিসি’ অনুযায়ী এ ধরনের আচরণ অনুমোদিত নয়।
‘কারণ আমরা চাই না যেকোনো ব্যক্তি বা সংস্থা এমন সব অ্যাকাউন্ট তৈরি করে যা তাদের পরিচয় বা কার্যক্রম সম্পর্কে লোকের মনে বিভ্রান্তি তৈরি করে।’
সূত্র: বিবিসি