প্রেস বিজ্ঞপ্তি: আজ ব্রাহ্মনবাড়িয়া জেলা এবি পার্টি (আমার বাংলাদেশ পার্টি) আয়োজিত “করোনা দূর্যোগ: কল্যাণ রাষ্ট্র গঠনের প্রয়োজনীয়তা” শীর্ষক আলোচনা সভা ও মতবিনিময়, পুলিশি বাঁধার কারণে অনুষ্ঠিত হতে পারেনি।
সকাল ১১ টায় এবি পার্টির কেন্দ্রীয় আহবায়ক সাবেক সচিব এএফএম সোলায়মান চৌধুরী, দলের সদস্য সচিব মজিবুর রহমান মন্জু ও সহকারী সদস্য সচিব নাজমূল হুদা অপু পূর্ব নির্ধারিত গ্র্যান্ড এ মালেক কনভেনশন হলে এসে পৌঁছালে পুলিশ সেখানে সভা করা যাবেনা বলে জানায়। এবি পার্টির জেলা সমন্বয়ক বিশিষ্ট সাংবাদিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠক ইব্রাহিম খান সাদাত ও উদ্যোক্তারা তাৎক্ষণিক সভার স্থান পরিবর্তণ করে পার্শ্ববর্তী কারী রেস্ট্রুরেন্টে অনুষ্ঠান স্থানান্তর করেন। অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত সাংবাদিক ও সংগঠকগণ কারী রেস্ট্রুরেন্টে সমবেত হলে ব্রাহ্মনবাড়িয়া সদর থানার ওসি মো: সেলিম উদ্দিনের নেতৃত্বে বিপুল সংখ্যক পুলিশ কারী রেস্ট্রুরেন্টের প্রবেশ পথে অবস্থান নেন। পুলিশি বাঁধা উপেক্ষা করে সাংবাদিক ও এবি পার্টির স্থানীয় সংগঠক এবং নেতৃবৃন্দ কারী রেস্ট্রুরেন্টে প্রবেশ করলে পুলিশ জানায় উপরের নির্দেশে তারা এখানেও কোন সভা করতে দেবেন না। ব্রাহ্মনবাড়িয়া প্রেসক্লাবের নেতৃবৃন্দ, স্থানীয় বিভিন্ন মিডিয়ার সংবাদিক ও এবি পার্টির সংগঠকগণ পুলিশ কর্মকর্তাদের কাছে কারণ জানতে চাইলে তারা জেলা আওয়ামীলীগ সেক্রেটারি আল মামুন সরকারের নিক্ষেধাজ্ঞা ও আপত্তির কথা জানান। স্থানীয় নেতবৃন্দ আল মামুন সরকারের সাথে টেলিফোনে কথা বললে তিনি তার দলের হাই কমান্ডের অনুমোদন ছাড়া কোন সভা করা যাবেনা বলে জানান। পুলিশ ও সরকারদলীয় নেতার এহেন অশোভন ও অগণতন্ত্রিক আচরণের প্রতিবাদে তাৎক্ষণিক সেখানে ক্ষোভ প্রকাশ করে সাংবাদিক ও সংগঠকদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখেন এবি পার্টির আহবায়ক এএফএম সোলায়মান চৌধুরী ও সদস্য সচিব মজিবুর রহমান মন্জু। তাঁরা করোনা পরিস্থিতিতে দলের যে মানবিক উদ্যোগ ও কর্মতৎপরতা তার উল্লেখ করে বলেন দেশব্যাপী অসহায় বিপর্যস্ত মানবতার কল্যানে নিবেদিত ফুড ব্যাংক কার্যক্রম ও কভিড-১৯ সচেতনতায় দলের সংগঠকদের উদ্বুদ্ধ করতেই তাঁরা ব্রাহ্মনবাড়িয়া এসেছেন। এবি পার্টি গঠনের উদ্দেশ্য বর্ণনা করে তাঁরা বলেন কোন দল বা গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে এবি পার্টির জন্ম নয়, বরং দেশ স্বাধীন হবার পঞ্চাশ বছরেও স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্ন ও অঙ্গীকার পূরণের যে ব্যর্থতা তা অর্জনের জন্যই কাজ করবে এবি পার্টি। তারা বাঁধা বিপত্তি উপেক্ষা করে স্বাস্থ্যবিধি মেনে এবি পার্টির আহবানে সাড়া দেয়ার জন্য সকলকে ধন্যবাদ জানান। স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন ও জেলা আওয়ামীলীগ সেক্রেটারীর যোগসাজস এবং আচরণে বিস্ময় ও নিন্দা জানিয়ে তাঁরা বলেন, ব্রাহ্মনবাড়িয়া পুলিশ ও সরকারী দলের নেতাদের কর্মকান্ডে মনেহল করোনা পরিস্থিতিতেও তারা মানবিক আচরণে অভ্যস্ত হতে পারেনি। দেশে বিপর্যয়ের মূহুর্তেও জাতীয় ঐক্য তৈরী না করে সরকার হিংসা ও স্বৈরতান্ত্রিক হঠকারিতা অব্যাহত রেখেছে। প্রতিবাদী বক্তব্য শেষে উপস্থিত সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন দলের সদস্য সচিব মজিবুর রহমান মন্জু। সভায় বিশিষ্ট সাংবাদিকদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক নেতা পীযুষ কান্তি আচার্য, মোশাররফ হোসেন বেলাল, শিহাব উদ্দিন বিপু, আল আমীন শাহীন, মজিবুর রহমান খান, সাদেকুর রহমান, মোহাম্মদ আরজু, আশিকুল ইসলাম, রিয়াজ উদ্দিন জামি, জাবেদ রহিম বিজন, আব্দুন নুর, সৈয়দ মোহাম্মদ আকরাম, এইচ এম সিরাজ, মো: জসিম উদ্দিন, সৈয়দ রিয়াজ আহমদ অপু, মনির হোসেন, জয়দুল হোসেন, আফম কাউসার হোসেন, মো. হোসাইন আল নাহিয়ান, উজ্জ্বল চক্রবর্তী, জালাল উদ্দিন রুমী, হাবিবুর রহমান পারভেজ, আশেক মান্নান হিমেল সহ প্রায় সকল জাতীয় গণ-মাধ্যমের সাংবাদিকবৃন্দ। সভায় জাসদের জেলা সভাপতি এয়াকুব আলী ও ইসলামী ঐক্যজোটের নেতা জাকির হোসেন সহ গণমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।