নিউজ বাংলা ডেস্ক: ভারতের সঙ্গে দেশবিরোধী চুক্তিকে জনগণের কাছ থেকে আড়াল করতে যুবলীগ নেতা ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটককে গ্রেফতারের নাটক সাজানো হয়েছে বলে দাবি করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। রবিবার নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই দাবি করেন।
রিজভী বলেন, ‘গত ১২ বছরে ভারতকে এই সরকার যা দিয়েছে তারপর বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের কিছু কি অবশিষ্ট থাকলো? আসলে এ সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত হলে জনগণ ও দেশের স্বার্থের কথা চিন্তা করতো। কিন্তু তারা রাতের অন্ধকারে বিনা ভোটে ক্ষমতা দখল করেছে, তাই তাদের জনগণের প্রয়োজন নেই।’
দেশ বিক্রি করে হলেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ক্ষমতা প্রয়োজন বলে দাবি করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘সব দেশের প্রধানমন্ত্রীরা বিদেশ সফরে কিছু না কিছু আনতে যান। আর আমাদের প্রধানমন্ত্রী ভারত সফরে যান সবকিছু উজাড় করে দিয়ে আসতে। তার বদলে তিনি পেয়েছেন ক্ষমতার মসনদে থাকার গ্যারান্টি আর ‘ঠাকুর শান্তি পুরস্কার’। আর বাংলাদেশের জনগণের বদনসিব, বিনিময়ে তারা কিছুই পায়নি।’
রিজভীর দাবি, ‘গত বছরের ৭ মার্চ রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের জনসভায় শেখ হাসিনা বলেছিলেন- “বিদেশে গ্যাস রফতানি করতে রাজি হইনি বলে ২০০১ সালের নির্বাচনে ক্ষমতায় আসতে পারিনি। খালেদা জিয়া গ্যাস রফতানির মুচলেকা দিয়ে ক্ষমতায় এসেছিলেন। আমরা দেশের সম্পদ বিদেশিদের দিয়ে জনগণের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করতে পারবো না।” আমার প্রশ্ন, কেন ভারতকে গ্যাস দিলেন? ক্ষমতায় থাকার জন্যই কি এ গ্যাস দেওয়া? এবার অস্বীকার করবেন কোন মুখে ?’
ভারতের সঙ্গে সম্পাদিত চুক্তিগুলো সংসদে পেশ করলে পত্র-পত্রিকার মাধ্যমে দেশের জনগণ বিস্তারিত জানতে পারতো বলে উল্লেখ করে রিজভী বলেন, ‘ভারতের সঙ্গে সরকার কী কী চুক্তি করছে তা জানার অধিকার বাংলাদেশের জনগণের অবশ্যই রয়েছে। এই অধিকার দেশের সংবিধানই দিয়েছে।’
রিজভী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী তার সাংবিধানিক শপথ ভঙ্গ করেছেন। তিনি দেশের স্বার্থ রক্ষায় তার করা শপথ ভঙ্গ করার প্রমাণ দিয়েছেন। নিজ দেশের চেয়ে বিদেশি রাষ্ট্রের স্বার্থ রক্ষা করেছেন। তিনি প্রধানমন্ত্রী পদে থাকার সাংবিধানিক সব অধিকার হারিয়েছেন। তাই এ মুহূর্তে শেখ হাসিনার পদত্যাগ দাবি করছি।’