ঢাকা: ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সুন্দরবনকে দস্যুমুক্ত ঘোষনা করেছেন। সর্বশেষ ছয়টি বনদস্যু বাহিনীর আত্মসমর্পণের মধ্যদিয়ে সুন্দরবনকে দস্যুমুক্ত ঘোষণা করা হয়। আজ বৃহস্পতিবার আত্মসমর্পণ করেন তারা।

এই সময় তিনি বলেন, দস্যুদের পুনর্বাসন প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে। এছাড়াও এই কাজে যারা সহযোগিতা করেছেন তাদের সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

আজ বৃহস্পতিবার সকালে বাগেরহাটের শেখ হেলাল উদ্দিন স্টেডিয়ামে বনদস্যু বাহিনীগুলোর সদস্যরা আত্মসমর্পণ করেন। এসময়ে বাগেরহাটে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল, মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ মন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ ও স্থানীয় এমপিসহ এলিটফোর্স র‌্যাবের শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

আত্মসমর্পণকৃত বনদস্যু বাহিনীগুলো হলো— সত্তার বাহিনী, শরিফ বাহিনী, মুকুল-সিদ্দিক বাহিনী, আল-আমিন বাহিনী, আনারুল বাহিনী ও তৈয়ব বাহিনী।

এর আগে এলিটফোর্স র‌্যাবের তৎপরতায় ২০১৬ সালের ৩১ মে প্রথম বাগেরহাটের মোংলা বন্দরের ফুয়েল জেটিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালের হাতে ৫০টি আগ্নেয়াস্ত্র ও ৫ হাজার রাউন্ড গোলাবারুদ জমা দিয়ে তার ৯ সহযোগীসহ বনদস্যু ‘মাস্টার বাহিনী’ প্রধান মোস্তফা শেখ ওরফে কাদের মাস্টার আত্মসমর্পণ করেন। এরপর পর্যায়ক্রেমে মানজার বাহিনী প্রধান মানজার সরদার, মজিদ বাহিনী প্রধান তাকবির বাগচী মজিদ, বড় ভাই বাহিনী প্রধান আবদুল ওয়াহেদ মোল্লা, ভাই ভাই বাহিনী প্রধান মো. ফারুক মোড়ল, সুমন বাহিনী প্রধান জামাল শরিফ সুমন, দাদা ভাই বাহিনী প্রধান রাজন, হান্নান বাহিনী প্রধান হান্নান, আমির বাহিনী প্রধান আমির আলী, মুন্না বাহিনী প্রধান মুন্না, ছোট শামছু বাহিনী প্রধান শামসুর রহমান, মানজু বাহিনী প্রধান মো. মানজু সরদার ও সূর্য বাহিনী প্রধান সূর্যসহ ৩২টি বনদস্যু বাহিনীর ৩১৭ জন সদস্য ৪৯৮ টি আগ্নেয়াস্ত্র ও ২৬ হাজার ৭৯০ রাউন্ড গোলাবারুদ জমা দিয়ে আত্মসমর্পণ করেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here