নিউজবাংলা ডেস্ক:
তিনি স্থানীয় কারো সঙ্গে কথা না বললেও উপস্থিত সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি বলেন, আমার মেয়ে (১২) স্থানীয় একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণিতে লেখাপড়া করে। আমি জীবিকার তাগিদে স্ত্রীকে নিয়ে ঢাকায় অবস্থান করি। আমার মেয়ে গ্রামে তার দাদা-দাদির কাছে থাকতো। গত ৬ জুন রাত ১০টার দিকে আমার মেয়ে তার দাদার ঘরে টিভি দেখছিল। এ সময় তার দাদা-দাদি কেউ বাড়িতে ছিলেন না।
এ সুযোগে আমার প্রতিবেশী উপজেলার রুদ্রবাড়িয়া গ্রামের মজিদ শেখের ছেলে ফজল ও তার ছোট ভাই নয়ন ঘরে ঢুকে আমার মেয়েকে ধর্ষণ করে। এ ঘটনায় থানায় মামলা করেছি। পুলিশ দুই ভাইকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠিয়েছে। এ মামলায় ধর্ষক দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল হয়েছে।
তিনি আরও জানান, আসামিপক্ষের লোকজন মামলা তুলে নেয়ার জন্য নানাভাবে হুমকি দিচ্ছে। তাদের ভয়ে মেয়েটিকে গ্রামের বাড়ি থেকে ঢাকায় নেয়া হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে।
আসামিপক্ষ আমার বিরুদ্ধে আদালতে মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে। দ্রুত বিচারের মাধ্যমে আসামিদের ফাঁসি চাই। ফাঁসির দাবিতে ছাপানো পোস্টারগুলো তিনি বগুড়া জেলা আদালত প্রাঙ্গণসহ জেলা ও উপজেলার বিভিন্ন স্থানে লাগিয়েছেন বলেও জানান।