হুমায়ুন কবির সোহাগ ঝিনাইদহ প্রতিনিধি :

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে ঐতিহ্যবাহী মোবারকগঞ্জ সুগার মিলস লিমিটেডের কার্যক্রম অধিকতর গতিশীল ও লাভজনক করার লক্ষে মোচিক শ্রমিক ও কর্মচারী ইউনিয়নের প্রতিনিধি এবং মিলের শ্রমিক কর্মচারীদের সাথে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। ৫ সেপ্টেম্বর রোজ রবিবার মোবারকগঞ্জ সুগার মিলের রেস্ট হাউসে মতবিনিময় সভাটি শুরু হয় বিকাল ৪ ঘটিকায়। উক্ত সভায় জনাব মোঃ মোশারফ হোসেন(ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোবারকগঞ্জ সুগার মিল লিমিটেড ) এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রতুল কুমার সাহা, উপসচিব, শিল্প মন্ত্রণালয়, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মো: গোলাম রসুল,সভাপতি,মোচিক শ্রমিক ও কর্মচারী ইউনিয়ন ও বাংলাদেশ চিনিকল – কর্মচারী ফেডারেশনের সহ – সভাপতি (৩)। খন্দকার আলমগীর হোসেন (ব্যবস্থাপক অর্থ),আলমগীর হোসেন (ব্যবস্থাপক ফ্যাক্টরি), আশরাফুল ইসলাম ভূঁইয়া (ব্যবস্থাপক কৃষি) মো: শরিফুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক,মোচিক শ্রমিক ও কর্মচারী ইউনিয়ান,
সিআইসি সোহেল আহমেদ, সাইফুদ্দিন খালেদ, কবির হোসেন, আব্দুর রাজ্জাক, আব্দুল হাই, মিথুন পারভেজ,সাইদুর রহমান পিকু, প্রমুখ। প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতুল কুমার সাহা বলেন, বাংলাদেশের চিনিকল গুলোর মধ্যে অন্যতম একটি চিনিকল হলো মোবারকগঞ্জ সুগার মিলস লিমিটেড। শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীনে পরিচালিত এই চিনিকল টির সার্বিক পরিস্থিতি সম্পর্কে জানার জন্যই আজকের এই মতবিনিময় সভার আয়োজন। উপস্থিত সকলের বক্তব্য থেকে এটাই প্রতীয়মান হয় যে আপনাদের যথেষ্ট সদিচ্ছা আগ্রহ এবং চেষ্টা রয়েছে মোবারকগঞ্জ সুগার মিলের উত্তরোত্তর উন্নতি সাধনে। আগামী মৌসুমে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিকারী বিষয়সমূহ আপনারা অনেক সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন। এই সকল বিষয়গুলো আমি মন্ত্রণালয়ে তুলে ধরবো।

মোচিক শ্রমিক ও কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মো: গোলাম রসুল তার বক্তব্যে বলেন,ব্রিটিশ আমলে নির্মিত মোবারকগঞ্জ সুগার মিলস লি:এর অবস্থা বর্তমানে অত্যন্ত নাজুক। বাংলাদেশের সর্বত্র ডিজিটালাইজেশনের লাগলেও আমাদের সুগারমিল টি এখনো চলছে এনালগ পদ্ধতিতে।উন্নত বীজ ও সারের অভাব,বয়লিং এর দুর্বলতা, ফ্যাক্টরি যন্ত্রাংশ দুর্বলতা, তারবাইন সংকট ও প্রতিটি বিভাগে দক্ষ জনবলের অভাবসহ বহুবিধ সমস্যার কারণে চিনি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হচ্ছে না। আমি দ্রুত এসকল সমস্যা সমাধানের জোর দাবি জানাচ্ছি। পাশাপাশি মোবারকগঞ্জ সুগার মিলের পাশ দিয়ে যাওয়া তিতাস গ্যাসের সংযোগ যদি আমাদের মিলে প্রদান করা হয় তাহলে বারোমাস প্রক্রিয়াজাতকরণ চিনি উৎপাদন করা সম্ভব হবে। পাশাপাশি সরকারিভাবে একটি অটো রাইস মিল স্থাপন করলে সরকারের কেনা ধান থেকে চাল ও ধানের তুষ থেকে তেল তৈরি করা যাবে। এভাবে উৎপাদনমুখী কতিপয় প্রকল্প শিল্প মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে মোবারকগঞ্জ সুগার মিলের অধীনে পরিচালিত হলে সরকার লাভবান হবে বলে আমি মনে করি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here