নিউজ বাংলা রিপোর্ট: যুদ্ধাপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে জামায়াতে ইসলামীর বিচারের বিষয়টি দ্রুত সুরাহার দাবি জানিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা।
তিনি বলেন, ২০১৪ সালের ২৭ মার্চ জামায়াতের বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্ত করে প্রতিবেদন ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন শাখায় দাখিল করা হয়। এরপর প্রায় ৫ বছর অতিবাহিত হতে যাচ্ছে, কিন্ত বিচারের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না। যে কোনো উপায়ে জামায়াতের বিচার দ্রুত হওয়া উচিত, যা দীর্ঘদিন ধরে ট্রাইব্যুনালে ঝুলে আছে।
আবদুল হাননান খান বলেন, ইতিমধ্যে নির্বাচন কমিশনে জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল হয়েছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের একাধিক রায়ে জামায়াতে ইসলামকে ক্রিমিনাল সংগঠন হিসেবে উল্লেখ করে পর্যবেক্ষণ দেয়া হয়েছে। সর্বশেষ জামায়াতের নিবন্ধন বাতিলের প্রজ্ঞাপন জারি করেছে নির্বাচন কমিশন।
তিনি বলেন, জামায়াতে ইসলামীর বিরুদ্ধে তদন্ত করে ২০১৪ সালের ২৭ মার্চ প্রতিবেদন চূড়ান্ত করে ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন শাখায় জমা দেওয়া হয়েছে। গত প্রায় ৫ বছরেও সেই প্রতিবেদনের ওপর কোনো চার্জ গঠন করা হয়নি বা আমাদের কাছে সে প্রতিবেদন ফেরতও পাঠানো হয়নি। এত দিন পার হয়ে যাওয়ায় আমরা ওই তদন্ত প্রতিবেদনের বিষয়ে ‘সুরাহা’ প্রত্যাশা করছি।
রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের মধ্যে ২২ জন যুদ্ধাপরাধী রয়েছে-সম্প্রতি বিএনপি থেকে দেওয়া এমন তালিকা প্রসঙ্গে আবদুল হাননান খান বলেন, যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে, তাদের ব্যাপারে অনুসন্ধান করে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
মেজর (অব.) আব্দুল মান্নান সম্পর্কে একজন সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে তদন্ত সংস্থা জানায়, তার বিরুদ্ধে কোনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। বিভিন্ন ক্যান্টনমেন্ট থেকে তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে, কিছুই পাওয়া যায়নি। তবে যেহেতু গণমাধ্যমে বিষয়টি এসেছে তাই খোঁজখবর নেয়া হবে।