রাজশাহীতে এবি পার্টির কর্মশালায় বক্তারা বলেন, আমরা তত্ব, মতবাদ ও ধর্মীয় বিতর্কের বাইরে গিয়ে রাষ্ট্র পুনর্গঠনের জন্য পার্টি গঠন করেছি।দেশের মানুষের মধ্যকরা ধর্মীয় বিভাজন, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষ-বিপক্ষ নিয়ে বিতর্ক এসবকিছুকে ছাপিয়ে আমাদের রাষ্ট্র গঠনে মনোযোগ দিতে হবে। বিতর্ক অনেক হয়েছে, বিগত পঞ্চাশ বছর যাবত নাগরিক অধিকার নিয়ে ছিনিমিনি খেলা হয়েছে। এখন আমরা মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করার মাধ্যমে সকলের অধিকার ফিরিয়ে আনতে চাই।
শুক্রবার এবি পার্টি রাজশাহী মহানগর শাখার উদ্যোগে সকাল ১০ টায় স্থানীয় এক কমিউনিটি সেন্টারে দলের সংগঠকদের নিয়ে রাজনৈতিক কর্মশালায় বক্তারা এসব কথা বলেন। মহানগর সমন্বয়ক প্রিন্সিপাল আব্দুল মালেকের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব আহমাদুল হকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন এবি পার্টির আহবায়ক সাবেক সচিব এএফএম সোলায়মান চৌধুরী। প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন পার্টির সদস্য সচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পার্টির সহকারী সদস্য সচিব আনোয়ার সাদাত টুটুল ও শাহ আব্দুর রহমান।
এর আগে আরএমপি’র বোয়ালিয়া থানা পুলিশ এবি পার্টির কর্মশালায় বাঁধা সৃষ্টি করে এবং শেফ গার্ডেন হলে’র বুকিং বাতিল করে। পরে আয়োজকরা তাৎক্ষণিক স্থান পরিবর্তণ করে অন্য একটি কমিউনিটি সেন্টারে কর্মশালার আয়োজন করেন।
কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সোলায়মান চৌধুরী বলেন, ধনী গরীব নির্বিশেষে সবার ট্যাক্সের টাকায় আমরা পড়াশোনা করেছি। দেশের অধিকাংশ মানুষ গরীব। গরীব কখনও ট্যাক্স ফাঁকি দেয়না। কিন্তু প্রতিদিন নানা ভাবে সে যে ট্যাক্স দেয় তার মাসিক ও বাৎসরিক পরিমাণের হিসাব সে জানেনা। ধনীরা সংখ্যায় কম হলেও বেশীরভাগ ট্যাক্স ফাঁকি তারাই দেয় এবং বড় বড় দুর্নীতিগুলো সব তারাই করে। যদি গরীব লোকেরা জানতো তারা বাৎসরিক কত ট্যাক্স দেয় তাহলে এদেশে ধনিরা দুর্নীতি করার সুযোগ পেতোনা। তিনি বলেন গরীব জনগোষ্ঠীকে তাদের অধিকার ও অবদান সম্পর্কে সচেতন করতে হবে। জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্যই আমরা একটি কর্মসূচি ভিত্তিক রাজনৈতিক দল গঠন করেছি। তিনি রাজশাহী বাসীকে রাষ্ট্র পুনর্গঠনের রাজনীতিতে শামীল হওয়ার আহ্বান জানান।
প্রধান বক্তা মজিবুর রহমান মঞ্জু উপস্থিত সকলের বিভিন্ন পর্যায়ের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন। তিনি বলেন, আমরা তত্ব, মতবাদ ও ধর্মীয় বিতর্কের বাইরে গিয়ে রাষ্ট্র পুনর্গঠনের জন্য পার্টি গঠন করেছি।দেশের মানুষের মধ্যকরা ধর্মীয় বিভাজন, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষ-বিপক্ষ নিয়ে বিতর্ক এসবকিছুকে ছাপিয়ে আমাদের রাষ্ট্র গঠনে মনোযোগ দিতে হবে। বিতর্ক অনেক হয়েছে, বিগত পঞ্চাশ বছর যাবত নাগরিক অধিকার নিয়ে ছিনিমিনি খেলা হয়েছে। এখন আমরা মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করার মাধ্যমে সকলের অধিকার ফিরিয়ে আনতে চাই।
তিনি বলেন, ২০ বছর পর আমেরিকা বুঝতে পেরেছে তাদের আফগানিস্তানে আগ্রাসন চালানোটা ভুল হয়েছে। তালেবানরা উপলব্ধি করেছে তাদের নীতির পরিবর্তণ দরকার। ফলে আজ তারা নিজ নিজ মনোভাব থেকে সরে এসেছে। মন্জু বলেন— আফগানিস্তানে মার্কিন ও তালেবানদের সমঝোতা থেকে শিক্ষা নিয়ে বাংলাদেশের রাজনীতিবিদদের পরস্পর হানাহানি বন্ধ করতে ঐকমত্যে আসা উচিত।
আনোয়ার সাদাত টুটুল বলেন, রাজশাহী মহানগরী উত্তরবঙ্গের রাজনীতির প্রানকেন্দ্র। আমরা রাজশাহী থেকেই এবি পার্টির জোয়ার সৃষ্টি করতে চাই। সেভাবেই আমাদের ভূমিকা রাখতে হবে।
শাহ আব্দুর রহমান বলেন, আমাদের সাত দফা কর্মসূচির মাধ্যমে আমরা জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আপনাদের সক্রিয় অংশগ্রহণের মাধ্যমেই আমরা সেই প্রচেষ্টা সফল করবো ইনশাআল্লাহ।
সভাপতির বক্তব্যে প্রিন্সিপাল আব্দুল মালেক বলেন, আমরা নতুন ভাবে এবি পার্টিতে যুক্ত হয়েছি। আজকের প্রোগ্রাম থেকে পার্টি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারলাম। আগামীতে রাজশাহী মহানগরীতে কর্মসূচি বাস্তবায়নের মাধ্যমে এবি পার্টিকে মানুষের দোরগোড়ায় আমরা পৌঁছে দেবো ইনশাআল্লাহ।বিজ্ঞপ্তি

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here