ক্ষুধার্ত বনমাছি
রিটন মোস্তফা
একটি অবয়ব,আফ্রিকান শকুনের অপেক্ষা
অর্ধ মৃত মানুষের করুন গোঙানী
দুর্গন্ধের ভিতরে ধুকপুক জীবন
সূর্য্য ঢলে পরে আটকে আছে পশ্চিমে
আমি রক্ত দিয়ে লিখে চলি আমারই মুক্তির কবিতা।
ক্ষুধার্ত বনমাছি, ভোঁ ভোঁ করে সমস্ত শরীরে
থোকা থোকা ঘা নিয়ে অবয়বে নামে সন্ধ্যা।
লটকানো ফ্রেমে বাঁধা জীবনের ইতিহাস
মরচে পড়া কফিনে কাকের বিষ্ঠা, লাশ নেই;
অবয়বের দমবন্ধ ডাইরীতে স্পষ্ট আমার আকুতি
মৃত্যু হয় হোক এই পঁচনে,পোস্টমর্টেম করো না।
নিজের অবয়বে নিজের কামড়েই হয়ত বা
বেরিয়ে আসবে ইতিহাস,স্বার্থপরতার ইতিকথা।
কে কোথায় ডুবে মরে মরুক, পট্টি বেঁধেছি চোখে
পথ খোলা রেখেছি শুধু যেতে চাই আমি যেদিকে।
এখানে কাঁধে কাঁধে ঘেঁষ লেগে জ্বলে ওঠে আগুণ
পুড়ে যায় বিবেক, ভালোবাসা, প্রেম যেন অনায়াসে।
এখানে আমি বেঁচে থাকি দমে দমে আবেগ বেচে
বেঁচে থাকি হায়েনার লোভাতুর জিহ্বাটা বের করে।