নিজস্ব প্রতিবেদকঃ মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর উপহার হিসেবে শতভাগ উৎসবভাতার দাবিতে ৩৬ ঘণ্টা অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের ১৩টি সংগঠন।
শুক্রবার (১৮ মার্চ) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ‘শতভাগ উৎসবভাতা বাস্তবায়ন কমিটি’র ব্যানারে শিক্ষক-কর্মচারীরা এ কর্মসূচি পালন করেন।
অবস্থান কর্মসূচিতে শিক্ষক-কর্মচারীরা বলেন, গত ১৮ বছর ধরে এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা ২৫ শতাংশ উৎসবভাতা পাচ্ছেন, যা অমানবিক। মাধ্যমিক পর্যায়ের এন্ট্রি লেভেলের একজন শিক্ষক ১২ হাজার ৫০০ টাকা স্কেলে উৎসবভাতা পান ৩ হাজার ১২৫ টাকা। মাদরাসার একজন ইবতেদায়ি লেভেলের শিক্ষক ৯ হাজার ৩০০ টাকা স্কেলে উৎসবভাতা পান ২ হাজার ৩২৫ টাকা। দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতির কারণে এত অল্প টাকায় আনন্দের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করা সম্ভব নয়।
তারা বলেন, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরসহ ছয়জন সংসদ সদস্য শতভাগ উৎসবভাতার বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী, অর্থমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রীর উপস্থিতিতে জাতীয় সংসদে উপস্থাপন করেন। তারা এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ জানান। কিন্তু আজ পর্যন্ত সেটির কোনো সুরাহা হয়নি।
শিক্ষক-কর্মচারীরা আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর এ মাহেন্দ্রক্ষণকে স্মরণীয় করে রাখতে শিক্ষক কর্মচারীদের শতভাগ উৎসবভাতা প্রদানের ঘোষণা ও পরিপত্র জারি করে আমাদের ঘরে ফেরাতে পারেন।
অবস্থান কর্মসূচির আয়োজন করা সংগঠনগুলো হচ্ছে, বাংলাদেশ বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারী ফোরাম, বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি (ড. ইদ্রিছ জসিম), বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষক-কর্মচারী ফোরাম, বাংলাদেশ সহকারী প্রধান শিক্ষক সমিতি, বাংলাদেশ এমপিওভুক্ত শিক্ষক অনলাইন পরিষদ, বাংলাদেশ শিক্ষক-কর্মচারী জাতীয়করণ মঞ্চ, বাংলাদেশ সাধাসিক কারিগরি শিক্ষক পরিষদ, বাংলাদেশ শিক্ষক সমিত (আ. মান্নাফ-প্রিন্স), বাংলাদেশ বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তৃতীয় শ্রেণি কর্মচারী পরিষদ, বাংলাদেশ মাধ্যমিক সহকারী শিক্ষক সমিতি, বাংলাদেশ ভোকেশনাল শিক্ষক শিক্ষক সমিতি, বাংলাদেশ শিক্ষক সমাজ ও বাংলাদেশ ইসলামিক স্টাডিজ ফেডারেশন।