আয়েশী কথন
শিমলা
আমার কবিতার শব্দরা নির্লজ্জ হোক ভীষণ রকম,
আমি আঁকতে চাই যেকোন অবয়ব,
ঘাসের ডগায়, শরতের আকাশে,বসন্তের আয়েশী কুঁড়িতে, চুলার আগুনে কিংবা রাস্তার ধুলোয়,
সাধারণ কিংবা অসাধারণ কি আসে যায়……
কে কখন কোন মাপকাঠিতে মাপছে শব্দের ওজন জানতে চাইনা আমি,
মাপার বাটখারায় ও যে চুরি করে লোকজন।
তাই কবিতার কাছে আমি জমা রেখেছি একটা বিশাল পদ্মদিঘি, একখানা শান বাঁধানো ঘাট।
যখনই মনে হবে ভুল ব্যাখ্যায় ভরে উঠছে শব্দরা তখন ভাসিয়ে দেবো তাদের পদ্মদিঘির জলে।
বৈরীতার ঝড়ে লন্ডভন্ড হয় রোজকার জীবন,
চুপচাপ শান বাঁধানো ঘাটে পা ডুবিয়ে আত্মোপলব্ধি সুবাস নিয়ে কবিতার কাছে সমর্পণের গান গাইবো আমি,
সপ্ত সুরের রিনরিনে শব্দরা আড়মোড়া ভেঙ্গে বারবার কবিতার গায়ে এলিয়ে দেবে শরীর
সৃষ্টির অভিলাষে,
সাধারণ কিংবা অসাধারণ কি আসে যায়……..