নিউজবাংলা২৪ রিপোর্ট
করোনাভাইরাসের কারণে ৬৬ দিন বন্ধের পর রোববার থেকে খুলেছে সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি অফিস। তবে বিদ্যমান পরিস্থিতিতে আপাতত সচিবালয়ের প্রতিটি মন্ত্রণালয় ও বিভাগে একসাথে সর্বোচ্চ ২৫ শতাংশ কর্মকর্তা কর্মচারী নিয়ে অফিসের কাজ চলবে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। একই সময় আরো ২৫ শতাংশ কর্মকর্তা কর্মচারী অনলাইনে কাজে যুক্ত থাকবেন। এভাবে পালাক্রমে অফিসের কাজ চলবে। আর দেশের অন্যান্য অফিসগুলোতে প্রয়োজন অনুযায়ী কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়ে কাজ করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
সোমবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এই সিদ্ধান্তের কথা জানান জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী। সংক্রমণ থেকে সুরক্ষার জন্য এই ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি। ফরহাদ হোসেন বলেন, আমরা কিছু নিষেধাজ্ঞাসহ স্বল্প পরিসরে সরকারি অফিস খুলেছি। অনেক বেসরকারি, আধা-সরকারি,স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল। আমাদের ১৮টি মন্ত্রণালয় স্বল্প পরিসরে এতদিন চালু ছিল। রোববার প্রথম দিন আমরা সচিবালয়ে যে চিত্র দেখেছি অধিকাংশ মন্ত্রণালয়ে যেভাবে আমরা বলেছি যে বয়স্ক কর্মকর্তারা আসবেন না, অসুস্থ ও সন্তানসম্ভবা নারী কর্মকর্তারা আসবেন না, সেটা আমরা মেইনটেইন করেছি। তিনি বলেন, প্রথম দিন অনেকগুলো মন্ত্রণালয় অত্যন্ত কম সংখ্যক কর্মকর্তা নিয়ে কাজ করেছে। যারা বিভিন্ন জায়গায় ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে বসবাস করছেন তাদের আমরা আসতে বারণ করেছি, তারা আসেননি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, দর্শনার্থীরা যাতে সচিবালয়ে প্রবেশ করতে না পারে এ জন্য এই ১৫ দিনে কোনো পাস ইস্যু করা হবে না। তিনি বলেন, মন্ত্রণালয়গুলোকে জানিয়ে দেয়া হয়েছে অত্যাবশ্যকীয় যে কাজগুলো আছে এখন আমরা সেগুলো করতে চাই। সেক্ষেত্রে চার ভাগের এক ভাগ (২৫ শতাংশ) বা পাঁচ ভাগের এক ভাগ (২০ শতাংশ) কর্মকর্তা উপস্থিত থাকবেন। যারা অসুস্থ আছেন তারা ঘরে বসে কাজ করবেন, এভাবে আমরা সাজিয়েছি। যাতে কেউ এখানে ইনফেক্টেড না হন। যারা একটু দূরে থাকে, যারা ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় থাকে আমরা তাদের আমরা শনাক্ত করেছি।
প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, আমরা লক্ষ্য করেছি কিছু কিছু মন্ত্রণালয়ে কোনো কোনো কর্মকর্তার প্রয়োজন ছিল না তারপরও তারা এসেছে। তাদের কোনো কাজ ছিল না। তাদের কাছে বার্তা ঠিকমতো পৌঁছায়নি। করোনোর সংক্রমণ এখন সর্বোচ্চ একটি অবস্থায় আছে জানিয়ে ফরহাদ হোসেন বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে আমাদের কাজগুলো করতে হবে। প্রথম দিন আমরা আমাদের অবজারভেশনে কিছু ত্রুটি পেয়েছি। তিনি বলেন, এই ১৫ দিনে আমরা ট্রায়াল অ্যান্ড এরর বেসিসে কাজ করব।
উল্লেখ্য যে, গত ৮ মার্চ দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী প্রথম শনাক্ত হয়। পরিস্থিতি অবনতির দিকে যেতে থাকলে ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করে সরকার। এরপর দফায় দফায় ছুটি বাড়তে থাকে। সর্বশেষ ঘোষণা অনুযায়ী টানা ৬৬ দিনের ছুটি গত ৩০ মে শেষ হয়। বিভিন্ন শর্তপালন ও নির্দেশনা মানা সাপেক্ষে গত রোববার থেকে আগামী ১৫ জুন পর্যন্ত অফিস খুলে দিয়েছে সরকার।