নিউজ বাংলা ডেস্ক:

আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘জনগণ নৌকায় ভোট দেয়ার জন্য উদগ্রীব হয়ে আছে। ঐক্যফ্রন্টের নেতারা বুঝে গেছেন যে, তাদের লোকজন ভোট দেবে না। এ কারণে তারা সন্ত্রাসের পথ বেছে নিয়েছে। দেশজুড়ে তারা সন্ত্রাস করছে।’

তিনি বলেন, ‘যেখানেই সুযোগ পাচ্ছে বিএনপি-জামায়াত সেখানেই হামলা করে যাচ্ছে। দেশের বিভিন্ন সংসদীয় আসনে বিএনপি-জামায়াত জোটের সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়ে, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে যাচ্ছে। এটাই তাদের চরিত্র, সেটাই তারা করে যাচ্ছে। এবার হামলায় আমাদের পাঁচজন নিহত ও বহু নেতাকর্মী আহত হয়েছেন- যেটা বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় ছাপা হয়েছে।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর অত্যাচার করে যাচ্ছে, বোমা হামলা করে যাচ্ছে, নির্বাচনী প্রচার মিছিলের ওপর হামলা করছে, আমাদের নির্বাচনে অফিস পোড়াচ্ছে। তারা (জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও বিএনপি-জামায়াত) জানে সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ এতিমের অর্থ আত্মসাৎকারী মানি লন্ডারিং দুর্নীতি অগ্নিসংযোগকারীদের মানুষ ভোট দেবে না। আর সেই কারণে তারা তাদের পেশীশক্তি দেখানোর চেষ্টা করছে। অতীতে তারা যেভাবে মানুষকে আক্রমণ করেছে ঠিক সেভাবে এখনও সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করছে।’

দেশবাসীর উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘জনগণের কাছে আহ্বান জানাব, নির্বাচন জনগণের ভোটাধিকার প্রয়োগ করার সুযোগ। গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা রক্ষা করার সুযোগ। আপনারা যারা ভোটার সকলে ভোট দেবেন। পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেবেন। আমরা এখানে দেখেছি- ঐক্যফ্রন্ট তাদের আচার-আচরণ থেকে কেউই রেহাই পাচ্ছে না।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘ড. কামাল হোসেন শুধু পুলিশকে নয়, কোর্টে বসে আমার অ্যাটর্নি জেনারেলকে নোংরা গালি দিয়েছেন। সাংবাদিকদের খামোশ বলে দেখে নেব হুমকি দিয়েছেন। এ আচরণ থেকে বোঝা যায় তাদের নেতাকর্মীদের আচরণটা কতটা জঘন্য। আমরা এসবের তীব্র নিন্দা জানাই। আমরা শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চাই।’

শেখ হাসিনা ভাষণে উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখার মাধ্যমে জনগণকে পুনরায় সেবা করার সুযোগ দানের জন্য আগামী ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে নৌকা মার্কায় ভোট প্রদানের জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, ‘আমরা ইতোমধ্যেই অনেক উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণ করে সেগুলো বাস্তবায়ন করেছি এবং অনেকগুলো বাস্তবায়নাধীন। কাজেই আমি দেশবাসীকে বলব, উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রাখার জন্য নৌকায় ভোট দিয়ে আমাদের আরেকটি বার দেশসেবার সুযোগ করে দিন।’

এ সময় বিএনপি-জামাতায় জোটকে প্রত্যাখ্যান করার আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আগামী ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে তারা যেন ক্ষমতায় আসতে না পারে। কারণ তারা দেশকে ধ্বংস করে দেবে।’

দলীয় নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে হবে। বিরোধীদলগুলো ঐক্যফ্রন্ট থেকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। তারা যাতে নির্বাচনী প্রচারণা চালাতে পারে সে জন্য শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। ঐক্যফ্রন্ট হয়তো সন্ত্রাস করতে পারে, এটা তাদের চারিত্র। কিন্তু আওয়ামী লীগ কখনো তা করবে না। অনেকে উসকানি দেবে তাতে কান দেয়া যাবে না।’

শেখ হাসিনা দাবি করেন, ‘ঐক্যফ্রন্টের কর্মীরা এখন পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন এলাকায় আওয়ামী লীগের পাঁচ নেতাকর্মীকে হত্যা এবং ৪০১ জনকে আহত করেছে। বিএনপি-জামায়াত জোট ৫১ জেলার ৮৮ আসনে হামলা, ভাঙচুর, বোমা হামলা ও আগুন সন্ত্রাস চালিয়েছে।’

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here