নিউজ বাংলা ডেস্ক:

নারী সহকর্মীর শ্লীলতাহানি : সাংবাদিক সেকান্দারের জামিন নামঞ্জুর

নারী সহকর্মীর শ্লীলতাহানির অভিযোগে করা মামলায় বেসরকারি টিভি চ্যানেল একুশে টেলিভিশনের (ইটিভি) প্রধান প্রতিবেদক এম এম সেকান্দার মিয়ার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেছেন আদালত।

মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর হাকিম দেবদাস চন্দ্র অধিকারীর আদালতে সেকান্দারের পক্ষে আইনজীবী প্রশান্ত কুমার কর্মকার জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন।

এ বিষয়ে সেকান্দারের আইনজীবী প্রশান্ত কুমার কর্মকার  বলেন, নারী সহকর্মীর শ্লীলতাহানির অভিযোগে করা মামলায় বেসরকারি টিভি চ্যানেল একুশে টেলিভিশনের (ইটিভি) প্রধান প্রতিবেদক এম এম সেকান্দার মিয়ার জামিন আবেদন করলে আদালত শুনানি শেষে জামিন নামঞ্জুর করেন।

গত ৪ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর বনশ্রীর বাসা থেকে সেকান্দারকে আটক করে র‌্যাবের একটি টিম। পরে তাকে হাতিরঝিল থানা পুলিশে হস্তান্তর করা হয়। এরপর তাকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে পুলিশ। মামলার মূল রহস্য উদঘাটনের জন্য পাঁচদিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। অন্যদিকে তার আইনজীবী জামিনের আবেদন করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম সত্যব্রত শিকদার দুইদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

দুই দিনের রিমান্ড শেষে গত ৭ ফেব্রুয়ারি ঢাকা মহানগর হাকিম তাকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এ সময় মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা হাতিরঝিল থানার উপ-পরিদর্শক মবিন আহম্মেদ ভূঁইয়া। অন্যদিকে সেকান্দারের আইনজীবী জামিনের আবেদন করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম দেবব্রত বিশ্বাস তার জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

মামলার কপিতে নারী সহকর্মীর উল্লেখ করেন, সেকান্দার দীর্ঘদিন ধরে তাকে কুরুচিপূর্ণ ইঙ্গিত করে আসছিলেন। গত ২৭ জানুয়ারি একটি ফাস্টফুডের দোকানে ডেকে তাকে জাপটে ধরে শরীরে হাত দিয়ে যৌন হয়রানি ও শ্লীলতাহানি করেন। অভিযোগকারী ওই নারীর দাবি, দীর্ঘদিন ধরে এম এম সেকান্দার তাকে হয়রানি করে আসছিলেন। তিনি প্রকাশ্যে শ্লীলতাহানি করেছেন, যার সিসিটিভি ফুটেজ ও অনেকে সাক্ষীও রয়েছেন।

এ বিষয়ে কাউকে কিছু বললে মেরে বস্তায় ভরে লাশ হাতিরঝিলে ফেলে দেবে বলেও হুমকি দেন। ভয়ে মামলা দায়েরে বিলম্ব করেন তিনি।

এ বিষয়ে পরদিন একুশে টিভির এমডি বরাবর একটি অভিযোগ দিলে সেকান্দার বিষয়টি জেনে যান এবং তাকে (ওই নারীকে) রুমে ডেকে কুরুচিপূর্ণ ও বাজে মন্তব্য করেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here