নিউজবাংলা২৪ ডেস্ক: আমরা হরহামেশাই মনের ভেতর যা আসে তা-ই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উগরে দিই। কিন্তু কখনো ভেবে দেখেছি কি সামাজিক যোগযোগমাধ্যমে দেওয়া আমাদের একেকটি স্ট্যাটাসই আমাদের ব্যক্তিত্বের পরিচায়ক? আদতে কিন্তু তাই। আমরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মানুষের সামনে নিজেদের ব্যক্তিত্বকেই তুলে ধরি।
এখন আসুন ব্যক্তিত্ব কী সে সম্পর্কে একটু জানি। ব্যক্তিত্ব হলো মানুষের দৈনন্দিন আচার-আচরণের মধ্য দিয়ে প্রকাশিত চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য, যার নিরিখে একজনকে অন্যদের থেকে আলাদা করা যায়। এই ব্যক্তিত্ব দুই ধরনের হয়। যথা: ইতিবাচক ব্যক্তিত্ব এবং নেতিবাচক ব্যক্তিত্ব। আপনি যদি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রতিনিয়ত নিজের সংকীর্ণতা, গোঁড়ামি, কুটিলতা, নোংরামি তুলে ধরেন তাহলে আপনাকে সবাই নেতিবাচক ব্যক্তিত্বের অধিকারী বলেই জানবে। আর আপনি যদি তা না করে নিজের বুদ্ধি, বিবেক দিয়ে যাচাই করে সদ্গুণের বৈশিষ্ট্য প্রকাশ করেন তাহলে সবাই আপনাকে ইতিবাচক ব্যক্তিত্বের অধিকারী বলেই মনে করবে।
বর্তমানে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম আমাদের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছে। আমরা প্রতিদিন কোথায় যাই, কী করি, কী খাই সবই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অন্যদের জানিয়ে দিই। নিছক আনন্দ লাভের জন্য এগুলো করতে গিয়ে আমরা ভাবি না যে, আমাদের বন্ধুতালিকায় বন্ধু-বান্ধবী ছাড়াও ছোটবড় অনেকেই রয়েছে। আমাদের শেয়ারকৃত বিষয়টি যদি রুচিসম্মত না হয় তাহলে বন্ধুতালিকার ছোটবড় মানুষগুলোর ওপর তার নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। তাদের মনে শেয়ারকারীর প্রতি বিরূপ ধারণা তৈরি হবে। আবার যদি ইতিবাচক কোনোকিছু শেয়ার করি তাহলে তাদের মনে ইতিবাচক ধারণা তৈরি হবে। ফলে কোনোকিছু শেয়ার করার সময় আমাদের খেয়াল রাখা উচিত শেয়ারকৃত বিষয়টি কতটুকু রুচিসম্মত এবং গ্রহণযোগ্য। কেননা এর মধ্য দিয়েই অন্যরা বুঝতে পারে আমাদের স্বকীয়তা। তাই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আমরা প্রতিনিয়ত যেগুলো অন্যদের সঙ্গে শেয়ার করছি সেগুলো যেন মার্জিত হয় সেদিকে লক্ষ রাখা উচিত।