কিন্তু ব্যতিক্রম পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী এবং তৃণমূল কংগ্রেসের প্রধান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি এখন পর্যন্ত নুসরতের পক্ষে দাঁড়িয়ে কোনও বিবৃতি দেন নি।
এমনকি নুসরতের নিজের দল তৃণমূল কংগ্রেসও কোনও বক্তব্য দেয় নি। এই পরিস্থিতিতে বসিরহাটের সাংসদের পাশে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে কিছু বলার আবেদন জানিয়েছিরেন বিজেপির সবনির্বচিত সাংসদ অভিনেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায়। নুসরতের বিরুদ্ধে দেওবন্দের সুন্নি সংগঠন দার-উল-উলুমের ইমাম মুফতি আসাদ ওয়াসমির ফতোয়ার প্রতিবাদ জানিয়ে হুগলির সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় বলেচেন, সিঁদুর পরবেন নাকি শাঁখা পরবেন, শপথ গ্রহণে কী পোশাক পরবেন সেটাও কি জিজ্ঞাসা করে পরতে হবে? এরপরই তাঁর সংযোজন, মুখ্যমন্ত্রীর নুসরতের পাশে দাঁড়ানো উচিত। ধর্ম নিয়ে রাজনীতি ঠিক নয়।
অবশ্য বিজেপি নেতা নেত্রীদের নুসরতের পাশে দাঁড়ানোর পেছনে রয়েছে মমতার মুসলিম তোষনের বিরোধীতার কৌশল। কিছুদিন আগেই মমতা মুসলিমদের দুধেল গাইয়ের সঙ্গে তুলনা করে তাদের লাথি খেতেও রাজি বলে জানিয়েছিলেন। এদিকে সসিরহাটেরই সাবেক সাংসদ তৃণমূল কংগ্রেসের মুসলিম সেলের অন্যতম নেতা ইদ্রিস আলি দলীয় সতীর্থের প্রবল সমালোচনা করেছেন। এই ইদ্রিস আলিই কলকাতায় তসলিমা নাসরিনের বিরুদ্ধে তীব্র হিংসাত্মক আন্দোলন সংগঠিত করে তাকে পশ্চিমবঙ্গ ছেড়ে যেতে বাধ্য করেছিলেন। সেই ইদ্রিশ আলিই নুসরতের আচরণ ও পোষাক নিয়ে সমালোচনা করে বলেছেন, নুসরত এভাবে চললে না ঘরকা না ঘাটকা হয়ে যাবেন। অবশ্য তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ নুসরত তার সিদ্ধান্তে অবিচল থেকে জানিয়েছেন, সকলকে নিয়ে যে ভারত, আমি তার প্রতিনিধি।… যে ভারত জাতপাত-ধর্মের সমস্ত বাধার ঊর্ধ্বে। সব ধর্মকেই আমি শ্রদ্ধা করি। এখনও আমি এক জন মুসলিম। এবং আমি কী পরব, তা নিয়ে কারও মন্তব্য করা উচিত নয়। বিশ্বাসের স্থান পোশাক-সাজসজ্জার উপরে। বিশ্বাসের মানে সব ধর্মের অমূল্য শিক্ষাগুলিকে মনে গ্রহণ করা ও তা পালন করা। গত ১৯ জুন তুরমেবদর বো;রুমে নুসরত কলকাতার ব¯্র ব্যবসায়ী নিখিল জৈনকে বিয়ে করেছেন। এর পর থেকে তিনি নিজেকে নুসরত জাহান রুহি জৈন বলে পরিচয় দিচ্ছেন।