জোগেশদা’র হারানো ডায়েরী
কলমেঃ সিলমী (রজেত্নিম্লিস)

জোগেশ দা এই মধ্যবয়সে এসেও
২০ মিনিটের রাস্তা হেঁটে পার হচ্ছেন।
পুরোটা বৃত্ত জুড়ে তার
অভিমন্যুর কুরুক্ষেত্রের চক্রব্যুহ।
এক জঙ্গল হিংস্রতা
লোকালয়ের মানুষ বোঝে না।
বোঝে না তার আবাসভূমিও।
ধোঁয়াশা আর কুয়াশা এক হয়ে যাবার অনুভূতিগুলোর
সাক্ষী বানাতে ইচ্ছে করে কাউকে।
ইচ্ছে করে তিন চাকার পর্দার আড়ালে
ঘটে যাওয়া ভেজা ভেজা ঘটনাগুলোর
অনুভূতি প্রকাশ করতে।
কত বছর পার হয়ে গেলো!
তবু কেউ জানলো না গাছের ডালে বসে
বাবুই আর চড়ুই ঘর বাঁধতে চেয়েছিল।
চড়ুই মূল্য দিলো না শৈল্পের।
বাবুই ভাবলো শিল্পের মাঝেই সুখ।
দুজনাই ভুল ছিল।
সোনার খাঁচার চড়ুই কাব্য বোঝে না,
বোঝে না বিরহের সুর।
বাবুই চায়নি সোনার খাঁচায় থাকতে।
আজ বাবুইয়ের ছান্দসিকতা হারিয়েছে
ব্যাকরণের পাতা উল্টোতে গিয়ে।
চড়ুইয়ের সোনার খাঁচায় মরচে ধরেছে।
খুব ইচ্ছে করলেও আজ বাবুইয়ের
মেটাফোরিক ভাষা বুঝতে পারে না চড়ুই।
-‘দাদা চা দেব?’
-‘হ্যাঁ দাও। একটা বেনসন লাইটও দিও।’
মুঠোফোনে ক’টা বাজে দেখে নিয়ে জোগেশ দা বললেন,
-‘না থাক গোল্ডলিফ দাও।’

—-মিরপুর, ঢাকা।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here