নিউজ বাংলা ডেস্কঃ গত ২৮ বছরের মধ্যে একবারও ফ্রান্সকে হারাতে পারেনি সুইজারল্যান্ড। আর গত ৬৭ বছরে মেজর টুর্নামেন্টের (বিশ্বকাপ ও ইউরো) শেষ ষোলোর বাধা টপকাতে পারেনি সুইসরা। ইউরোয় কখনো শেষ ষোলো পেরোতে পারেনি তারা। দলটি শেষ ষোলোতেও ওঠে নিজেদের গ্রুপে তৃতীয় হয়ে। তারকায় ঠাসা বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সের বিপক্ষে সুইজারল্যান্ডকে কেউ গোনাতেই ধরেনি। সেই তারাই চলমান ইউরোয় ঘটালো সবচেয়ে বড় অঘটন। গত আসরের রানার্সআপ ফ্রান্সকে টাইব্রেকারে ৫-৪ ব্যবধানে হারিয়ে ১৯৫৪ বিশ্বকাপের পর প্রথমবার কোনো মেজর টুর্নামেন্টের কোয়ার্টার ফাইনালে সুইজারল্যান্ড। নির্ধারিত সময় ৩-৩ এর পর অতিরিক্ত সময়ও ওই স্কোরলাইনে শেষ হয়। আর ২০১০ বিশ্বকাপের পর প্রথমবার মেজর আসরের শেষ ষোলো থেকে বিদায়ের তেতো স্বাদ পেল ফ্রান্স।
রোমানিয়ার বুখারেস্টে টাইব্রেকারে পাঁচ শটের সবকটিতেই গোল করে ম্যাচের মধ্যে পেনাল্টি মিস করা সুইজারল্যান্ড। ফ্রান্সের প্রথম চার শট লক্ষ্যে পৌঁছলেও শেষটি ফিরিয়ে সুইজারল্যাান্ডের নায়ক গোলরক্ষক ইয়ান সমের।ফরাসিদের শেষ শটটি নিয়েছিলেন তাদের ‘গোল্ডেন বয়’ কিলিয়ান এমবাপে।গোলহীন ইউরো তার জন্য ভীষণরকম তেতো হয়ে গেল টাইব্রেকারের এই পেনাল্টি মিসে।
সাবেক ইউরো চ্যাম্পিয়নদের হতবাক করে প্রথম আক্রমণেই এগিয়ে যায় সুইজারল্যান্ড। পঞ্চদশ মিনিটে বাঁ থেকে স্টিভেন জুবেরের দারুণ ক্রস ডি-বক্সে পেয়ে লাফিয়ে হেডে বল জালে পাঠান সেফেরোভিচ। সঙ্গে লেগে থাকা ডিফেন্ডার ক্লেঁমো লংলে প্রতিহত করার কোনো চেষ্টাই করেননি।
কোয়ার্টার ফাইনালে সুইজারল্যান্ডের প্রতিপক্ষ স্পেন।