নিউজবাংলা ডেস্ক:
একজন প্রাক্তন প্রেমিকা অঙ্কিতা লোখান্ডে, অন্যজন অঙ্কিতা পর্ব শেষ হওয়ার পর সুশান্তের জীবনে আসা প্রেমিকা রিয়া চক্রবর্তী। চৌদ্দ জুন তথাকথিত আত্মঘাতী সুশান্ত সিং রাজপুতকে নিয়ে দু’জনের প্রকাশ্য কাজিয়া এখন তুঙ্গে। যা রহস্যকে আরও জটিল করে তুলেছে। রিয়ার বিরুদ্ধে সুশান্তের পরিবার যে হত্যার অভিযোগ এনেছে তাকে সমর্থন করছেন অঙ্কিতা লোখান্ডে। রিয়ার অভিযোগ, অঙ্কিতা মনে করেন সুশান্তকে তিনি কেড়ে নিয়েছেন তাই বদলা নিতে অঙ্কিতা এই কথা বলছেন। অঙ্কিতা যে ফ্ল্যাটে থাকেন সেটি সুশান্তের পয়সায় কেনা বলে রিয়া অভিযোগ করেন। জবাবে অঙ্কিতা বলেছেন, ফ্ল্যাটটি কার এবং কার টাকায় কেনা হয়েছে তা সব জানে সুশান্তের পরিবার। তাই বিষয়টি নিয়ে তিনি মুখ খুলতে চান না।
সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর পর একটি ইংরেজি সর্বভারতীয় চ্যানেলকে দেয়া প্রথম সাক্ষাৎকারে রিয়া চাঞ্চল্যকর অভিযোগ আনেন যে তাঁকে প্রাণে মেরে দেয়ার চক্রান্ত হচ্ছে এবং মুম্বাই পুলিশের কাছে তিনি নিরাপত্তা চেয়েছেন। সুশান্তের বাবা ও তাঁর পরিবার রিয়ার বিরুদ্ধে সুশান্তকে স্লো পয়জনিং করে। এবং আত্মহত্যার প্ররোচনা দিয়ে খুন করার যে অভিযোগ এনেছে সেই সম্পর্কে রিয়া বলেন, সুশান্তের বাবা ওর চার পাঁচ বছর বয়েসে ওর মাকে ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন। সুশান্ত এটা মেনে নিতে পারেনি। বাবার সঙ্গে সুশান্তের সম্পর্ক কোনোদিন ভালো ছিল না। পোস্টমর্টেমের সময় সুশান্তের পা ধরে রিয়ার করা উক্তি, বাবু, আই আম সরি প্রসঙ্গে রিয়া বলেন, সুশান্তের শেষকৃত্যে তার পরিবার আমাকে অবাঞ্চিত করে দেবে, অপমান করবে এটা অনুমান করে আমার কিছু বন্ধু আমাকে শেষ দেখা দেখানোর জন্যে মরিটরিয়ামে নিয়ে যায়। ভারতীয় রীতি মেনে আমি পা ছুঁয়ে ওকে বলি, বাবু, আমি দুঃখিত। এর অন্য মানে কেন করা হচ্ছে? সুশান্তকে তিনি যে প্রাণের থেকে বেশি ভালোবাসতেন তার উল্লেখ করে রিয়া বলেন, আমি অবিকল ওর মতো দেখতে একটা ছোট সুশান্ত চাইতাম ওর কাছ থেকে। নিজেদের সম্পর্কের কথা বলতে গিয়ে রিয়া জানান, যশরাজ ফিল্মসের জিমে তাঁদের প্রথম দেখা হয় দু’হাজার তেরো সালে। দু’হাজার পনেরোতে একটি ফিল্মি পার্টিতে তাঁরা আরও ঘনিষ্ঠ হয়ে ওঠেন। এরপর অঙ্কিতা লোখান্ডের প্রস্থান এবং লিভ ইন পার্টনার হিসেবে রিয়ার আবির্ভাব। সুশান্ত সিং সহজ জীবনযাপনে অভ্যস্ত ছিলেন বলে রিয়া জানান এবং তাঁর মারিজুয়ানা সমৃদ্ধ সিগারেট খাওয়ার অভ্যাস রিয়া চক্রবর্তী দূর করার চেষ্টা করেছিলেন বলে ইন্টারভিউতে দাবি করেছেন। সুশান্ত রিয়াকে এতটাই ভালোবাসতেন যে সুশান্ত, রিয়া এবং তার ভাই শৌভিকের কোম্পানির নাম তিনি রেখেছিলেন, রিয়ালিটিক্স। তাঁদের ইউরোপ ট্যুর সম্পর্কে রিয়া বলেন একটি ফ্যাশন মডেলিংয়ের জন্যে তাঁর প্যারিস যাওয়ার কথা ছিল। সুশান্ত তা জানতে পেরে ইউরোপ ট্যুরের ব্যবস্থা করে। আগের টিকিট, হোটেল বুকিং বাতিল করে নিজে নতুন টিকিট, হোটেল বুকিং করে। সুশান্তের জোরাজুরিতে সৌভিক ফ্লোরেন্সে তাঁদের সঙ্গে যোগ দেয়।
রিয়া বলেন, তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার। কিন্তু পরপার যদি কিছু থাকে তবে সুশান্ত নিশ্চয়ই দেখছেন তাঁদের সম্পর্ককে কিভাবে অপমানিত করে স্বার্থসিদ্ধির চেষ্টা হচ্ছে।