বিদেশ ডেস্ক :

সৌদি আরবের জিযান বিমানবন্দরে ফের ড্রোন হামলা হামলা চালিয়েছে ইরান সমর্থিত হুতি বিদ্রোহীরা। এর আগে রমজানের শেষের দিকেও ইয়েমেন সীমান্তবর্তী এ বিমানবন্দরটিতে হামলা চালানো হয়েছিল।

রোববার হুতি সমর্থিত ইয়েমেনের আল-মাসিরাহ টেলিভিশন এক টুইটবার্তায় এ হামলার কথা স্বীকার করে।

টুইটে বলা হয়, রোববার জিযান বিমানবন্দরে সৌদি আরবের ড্রোন বাঙ্কার ও স্টেশনগুলো লক্ষ্য করে এ হামলা চালানো হয়।

তবে সৌদি কর্তৃপক্ষ বা ইয়েমেনে হুতিদের বিরুদ্ধে চার বছর ধরে লড়াই করা সৌদি নেতৃত্বাধীন জোট বাহিনী হামলায় আক্রান্ত হওয়ার ব্যাপারে কোনো তথ্য নিশ্চিত করেনি।

রমজানের মধ্যে হুতি বিদ্রোহীরা সৌদি আরবে ২টি ব্যালাস্টিক মিসাইল ছুড়লে একটি জেদ্দার রেড সি পোর্টের কাছে, মক্কা অভিমুখী অপর মিসাইলটি মক্কার ৫০ কিলোমিটার দূরে তায়েফে ভূপাতিত করে সৌদি এয়ার ডিফেন্স ফোর্সেস।

এর আগে সৌদি আরবের দুটি পাম্পিং স্টেশনে সশস্ত্র ড্রোনের মাধ্যমে হামলা চালিয়েছিল হুতি বিদ্রোহীরা।

এ হামলার পরিপ্রেক্ষিতে সৌদি আরবের সবচেয়ে বড় তেল সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান আরমাকো তেল সরবরাহ বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে।

ইরানি মদদপুষ্ট হুতি বিদ্রোহীরা ২০১৪ সালে ইয়েমেনের রাজধানী সানা দখল করার পর দেশটির সৌদি সমর্থিত প্রেসিডেন্ট আব্দে রাব্বি মানসুর হাদিকে ক্ষমতাচ্যুত করে। পরে আব্দে রাব্বি মানসুর দেশ ছেড়ে পালিয়ে সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে চলে যান।

এরপর ইয়েমেনের গৃহযুদ্ধে হস্তক্ষেপ করে সৌদি সামরিক জোট। জাতিসংঘ জানায়, গত চার বছর ধরে চলা এ যুদ্ধে অন্তত ছয় হাজার ৮০০ বেসামরিক লোক নিহত ও সাড়ে ১০ হাজারেরও বেশি আহত হয়েছেন।

দি ইন্টারন্যাশনাল রেসকিউ কমিটির (আইআরসি) করা দুর্যোগপূর্ণ দেশগুলোর তালিকার শীর্ষে রয়েছে কয়েক বছর ধরে যুদ্ধবিধ্বস্ত ইয়েমেন।

ইয়েমেনের ব্যাপারে আইআরসির রিপোর্টে বলা হয়, প্রেসিডেন্ট আব্দে রাব্বি মানসুর হাদির পক্ষে সৌদি ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের নেতৃত্বাধীন বাহিনীর হামলায় দেশটি ধ্বংসের শেষপ্রান্তে পৌঁছে গেছে।

গত বছরের শেষ দিকে জাতিসংঘ সতর্ক করে জানায়, দেশটি মারাত্মক দুর্ভিক্ষের মুখে পড়তে যাচ্ছে। বর্তমানে ইয়েমেনের দুই কোটি ৪০ লাখ লোকের জন্য মানবিক সহায়তার প্রয়োজন। গত বছর সেখানে কলেরা মহামারী দেখা দিলে ১০ লক্ষাধিক লোক এতে আক্রান্ত হয়।

আরও পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here