নিউজ বাংলা ডেস্ক:নিজের অগোছালো জীবনের কথা দিয়ে শুরু হলেও ‘স্বপ্ন দেখার সাহস করো’ গান দিয়েই মূলত শুরু হয় শুভেন্দু মাইতির গান গল্প । কৃষ্টির আয়োজনে ছায়ানটে শনিবার নান্দনিক ও সরল পরিবেশের বিকেলে অনুষ্ঠিত হয় ‘গল্পে গানে শুভেন্দু মাইতির সঙ্গে বাংলা গানের পরম্পরা’ ।

স্বপ্নকে তিনি ছোট বট ফলের সাথে তুলনা করেছেন; যা কয়েক হাজার বীজের সমন্বয়। আরও বলেন, মানুষের মধ্যে আসলে তার স্বপ্নকে আশ্রয় দিতে হয়। তাহলেই জয় করা যায়।

পৃথিবীর ৩২ কোটি বাঙালির সঙ্গে সংযোগ স্থাপনের জন্য একটি মাধ্যম খোঁজার চেষ্টা করছি। বাঙালির সৃজনশীল, ঔদার্য ও সহনশীল। তবে বিশ্বের শ্রেষ্ঠ জাতিতে পরিণত না হয়ে আজ মৃয়মান। অপরের দাসত্ব করে চলেছে কেবল। নিজের শক্তির উজ্জীবনি মন্ত্র সম্পর্কে জানতে হবে। তারপর এই বার্তা পৌঁছে দিতে হবে সমগ্র বিশ্বে । কথাগুলো বলেছেন শুভেন্দু মাইতি।
৭৫ বছরে এখনো স্বপ্ন দেখতে ভালোবাসেন এই শিল্পী। নিজের অদম্য সাহসও প্রকাশ করলেন সেভাবে । তিনি বলেন, স্বপ্ন দেখতে ভালোবাসি আমৃত্যু । গান গাইতে গাইতে যেন মরতে পারি । গাছের মগডালটি লক্ষ্য থাকলে ওই গাছের মাঝামাঝিতো পৌঁছানো যাবে !

কথার মাঝে গানের ঝংকার বেজে ওঠে। সবাইকে সঙ্গে নিয়ে গাইলেন, ‘যখন একা থাকি দিশাহারা বড় অসহায় লাগে’। শেষে বললেন, ‘জীবিকা নির্বাহের জন্য বেশ্যার দালালি করবো, তবু গান বেচবোনা’। বহু কথার পর আবারও গানের কাছে নিয়ে গেলেন শ্রোতাদের ।

মানুষ ও সঙ্গীতকে ভালোবেসে গণসংগীতের প্রেমে পড়েন শুভেন্দু মাইতি। তবে জড়িয়ে পড়েন রাজনীতিতেও । ষাটের দশকে তিনি প্রিয় হয়ে ওঠেন কবিতাপ্রেমীদের। এরপর নজর দিতে শুরু করেন বাংলা গানে। সুমন চট্টোপাধ্যায়, নচিকেতাসহ বহু শিল্পীদের হাত ধরে নিয়ে আসেন শ্রোতাদের সামনে । ২০০৬ সালে গড়ে তোলেন লালন একাডেমি ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here