নিউজবাংলা প্রতিবেদন
সিনিয়র সাংবাদিক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ তোশারফ আলী বলেছেন, ভাষা আন্দোলনের উত্তাল দিনে জন্ম নিয়েছিলাম। শৈশব থেকেই একটা স্বাধীকার চেতনা জাগ্রত হয়েছিল। বঙ্গবন্ধুর দেশ প্রেম আমাদের মাঝে সঞ্চারিত হয়েছিল। তার আদর্শ আর প্রেরণায় মুক্তি সংগ্রামে অংশ নিয়েছিলাম। একটি উন্নত দেশের স্বপ্ন সারাজীবন লালন করেছি। স্বাধীন পতাকা স্বাধীন ভূখন্ড পেয়েছি এটা কম বড় অর্জন নয়। জাতীয় জীবনে একটা বিরাট রূপান্তর ঘটেছে। আগামী দিনগুলো সুন্দর হবে সেই প্রত্যাশা করি।
সাপ্তাহিক রোববার সম্পাদক তোশারফ আলী তাঁর জন্মদিনে গতকাল রাত দশটায় সারেঙ আয়োজিত এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন।
মহান ¯্রষ্টার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে তিনি বলেন, দীর্ঘ পথ পরিক্রমায় স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর পূর্তি পালন করতে পারছি এটা আমার জন্য গৌরবের। মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর শাহাদাত বরণ আমার জীবনের গতিপথ বদলে দিয়েছে। নয়তো আমার অবস্থান ভিন্ন রূপ হতো। দেশপ্রেম আর মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় আমার লেখনিকে শাণিত করার চেষ্টা করেছি। অসঙ্গতিকে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। পদ পদবীর লোভে কোনো অন্যায়ের সাথে আপোষ করিনি।
তিনি বলেন, নানা ক্ষেত্রে আমাদের উন্নয়ন হয়েছে। অবকাঠামো তথ্যপ্রযুক্তির উন্নয়ন হয়েছে। আমাদের শিক্ষামানের উন্নয়ন ঘটাতে হবে। স্বাস্থ্যখাতের দুর্বলতা দূর করতে হবে। সরকার আর বিরোধীদলের মধ্যে দায়িত্বশীল সম্পর্ক গড়ে তুলতে হবে। খেলায় নিয়ম না মানলে যেমন তা অংশগ্রহণমূলক হয়না, জমে ওঠে না, রাজনীতিতেও সবাইকে সরকার ও বিরোধীপক্ষকে নিয়ম মেনে চলতে হবে। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থায় বিরোধীদলকে সংকুচিত করা যাবেনা। তিনি বলেন, আত্মোৎসর্গের মনোভাব নিয়ে কাজ করলে সারেঙ এর মতো ছোট্ট সংগঠনও ঐতিহাসিক দায়িত্ব পালন করতে পারে।
সারেঙ সম্পাদক আবদুর রহমান মল্লিকের সঞ্চালনায় সভায় অন্যান্যদের মধ্যে আলোচনা করেন, সিনিয়র সাংবাদিক সাহিদুল ইসলাম, কবি হামীম হাফিজুল্লাহ, কবি দিলরুবা লিপি, কচিপাতা সম্পাদক আলেয়া বেগম আলো, শিক্ষক আজিজুন নাহার প্রমুখ।