প্রেসবিজ্ঞপ্তি: স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষ্যে এবি পার্টির ‘৫০ দিন ব্যাপী কর্মসূচীর’ শুভ উদ্বোধন করা হয়েছে।
রোববার সন্ধ্যা ৭ টায় বিজয় নগরস্থ এবি পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ৭ নম্বর সেক্টরের গেরিলা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম প্রধান অতিথি হিসেবে ৫০ দিনব্যাপী কর্মসুচির উদ্বোধন করেন ।
দলের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন কমিটি আয়োজিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন এবি পার্টির যুগ্ম-আহবায়ক অধ্যাপক ডাক্তার মেজর (অব.) আব্দুল ওহাব মিনার।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ রেজাউল করিম বলেন, একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে
আমার যুদ্ধ এখনও শেষ হয়নি। ৭৩ বছর বয়সে এখনো যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছি। তিনটি কাজ একসাথে করলে বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়াবে। একটি গ্রুপ কে নিয়োজিত করতে হবে দেশ মেরামতের কাজে। একটি গ্রুপ কাজ করবে দলকে শক্তিশালী করার জন্য এবং আরেকটি গ্রুপকে গবেষণার দায়িত্ব দিতে হবে। তিনি বলেন এবি পার্টিকে নতুন প্রজন্ম সৃষ্টি করতে হবে কারণ পুরাতনদের দিয়ে আর কাজ হবেনা। সৎ, দেশপ্রেমিক শিশু তৈরী করতে হবে যারা আগামীদিনের বাংলাদেশ গড়ায় নেতৃত্ব দেবে।
এবি পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক এডভোকেট তাজুল ইসলাম বলেন, যদি ৩৬ কোটি হাত কে কর্মের হাতে পরিণত করা যায় তাহলে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্থবহ হবে। ঐক্যের সুতোয় যদি ১৮ কোটি মানুষ কে
একটি শক্ত বন্ধনে বাঁধা যায় তাহলে আমরা মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারব। তিনি বলেন যেভাবে ক্ষমতাসীনরা দেশ চালাচ্ছে তাতে তা অচিরেই রানা প্লাজার মত রাষ্ট্র ধ্বসে পড়বে। তিনি বলেন এবি রাষ্ট্রের
প্রত্যেকে স্তম্ভের গোড়ায় মেরামতের কাজে হাত দেবে। তিনি আশাবাদ ব্যাক্ত করে বলেন প্রত্যেক টি নাগরিককে সুশাসন দেয়ার সামর্থ এই রাষ্ট্রের আছে।
এবি পার্টির সদস্য সচিব মজিবুর রহমান মন্জু বলেন- বাঁশের লাঠি হাতে পুলিশের মুখোমুখি যে যুবকের ছবি কয়েকদিন আগে মিডিয়ায় ব্যাপক প্রচার পেয়েছে তা সময়ের প্রয়োজনে রাজপথে জন্মলাভ করে। এটাই বিপ্লব সংগ্রামের নীতি। ৫২, ৬২, ৬৯ এর অধিকারের আন্দোলন থেকে মুক্তিযুদ্ধের জন্ম হয়েছে। তিনি বলেন স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধ করার সুযোগ সবাই পায়না। বাংলাদেশের মানুষ ভাষার জন্য সংগ্রাম করেছে, গণতন্ত্রের জন্য গণ-অভ্যুত্থান করেছে এবং যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছে। ৫০ দিনব্যাপী অধিকার ভিত্তিক নানা কর্মসুচি পালনের জন্য তিনি এবি পার্টির কর্মীদের আহবান জানান।
সভাপতির বক্তব্যে এবি পার্টির যুগ্ম-আহবায়ক অধ্যাপক ডাক্তার মেজর (অব.) আব্দুল ওহাব মিনার বলেন- পরিবারের দুষ্ট ছেলেটা বাবার মৃত্যুশয্যায় যেভাবে ছলনার আশ্রয় নিয়ে নিজের নামে দলিল লিখিয়ে নেয় বর্তমান ক্ষমতাসীনরা মুক্তিযুদ্ধের মত পবিত্র সংগ্রাম কে সেভাবে হাইজ্যাক করেছে। তারা দেশ গঠনের চাইতেও মুক্তিযুদ্ধে অবদান ও কৃতিত্ব জাহির করা নিয়ে অস্থির হয়ে গেছে। তিনি হুশিয়ারী উচ্চারণ করে বলেন বিভাজনের রাজনীতি আমরা আর দেখতে চাইনা।
যুবনেতা এডভোকেট আলী নাসের খানের সঞ্চালনায় পরিচালিত অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন যুগ্ম-সদস্য সচিব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, ব্যারিস্টার যোবায়ের আহমদ ভূঁইয়া, বিএম নাজমুল হক, সহকারী সদস্য সচিব যথাক্রমে এডভোকেট আব্দুল্লাহ আল মামুন রানা, বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ ইদ্রিস আলী, নাজমূল হুদা অপু, আনোয়ার সাদাত টুটুল, এবিএম খালিদ হাসান, এএফএম ওবায়দুল্লাহ মামুন, ব্যারিস্টার সানি আব্দুল হক, শাহ্ আব্দুর রহমান, নারী নেত্রী বেবী পাঠান, সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
এবি পার্টির ৫০ দিনব্যাপী কর্মসূচির মধ্যে মুক্তিযোদ্ধাদের সম্বর্ধনা, সেমিনার, শোভাযাত্রা, মুক্ত আলোচনা, শহীদদের কবর জিয়ারত ও দোয়া, দুস্থদের জন্য খাবার বিতরণ, মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি সংরক্ষণ, মুক্ত জলাশয়ে মাছের পোনা অবমুক্ত করণ, বৃক্ষ রোপন, পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা অভিযান, শিশুদের চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা, নারী সম্মেলন, শিশুদের জন্য মুক্তিযুদ্ধের বাছাইকৃত গল্প সংগ্রহ, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও বীরাঙ্গনা নারীদের উপহার প্রদান সহ বিস্তারিত কর্মসুচি ঘোষনা করা হয়।