নিউজবাংলা২৪ডেস্ক: করোনা মোকাবিলায় ব্যক্তিগত নিরাপত্তার সরঞ্জাম-পিপিই ও মাস্ক সরবরাহে অনিয়মসহ নানা অভিযোগ ওঠা স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক (ডিজি) অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ অবশেষে পদত্যাগ করেছেন। মঙ্গলবার (২১ জুলাই) তিনি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে গিয়ে পদত্যাগপত্র জমা দেন।
সন্ধ্যায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. আব্দুল মান্নান জাগো নিউজকে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালকের পদত্যাগের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
অধ্যাপক ডা. দ্বীন মোহাম্মদ নুরুল হক অবসরে যাওয়ার পর স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পান ডা. আবুল কালাম আজাদ। প্রথম পর্যায়ে মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে তাকে আবারও দুই বছরের জন্য চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেয়া হয়।
করোনা মোকাবিলায় চিকিৎসক, নার্স, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, সাংবাদিকসহ সংশ্লিষ্টদের যথাযথ ব্যক্তিগত নিরাপত্তার সরঞ্জাম- পিপিই এবং এন-৯৫ মাস্ক সরবরাহে ব্যর্থ হওয়ার পাশাপাশি নানা অভিযোগ ওঠে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক প্রফেসর মো. আবুল কালাম আজাদের বিরুদ্ধে।
এছাড়া নমুনা পরীক্ষা না করেই ভুয়া কোভিড সনদ দেয়ার অভিযোগ ওঠা জেকেজি হেলথকেয়ার নামের প্রতিষ্ঠানটির অনৈতিক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা না নেয়া, অনুমোদনহীন রিজেন্ট হাসপাতালকে কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতাল হিসেবে অধিদফতর থেকে অনুমোদন পাইয়ে দেয়ারও অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে। এসব অভিযোগের বিষয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে দু’দফা কারণ দর্শানোর নোটিশও পাঠানো হয়।
জানা যায়, বর্তমান স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক নিজে উদ্যোগী হয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালককে নিয়োগ দেন। কিন্তু চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেয়ার পরই তার বিরুদ্ধে চরম দায়িত্বহীনতা, কর্তব্যে শৈথিল্য, পক্ষপাত এবং নানা দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে।
আবুল কালাম আজাদ ১৯৮৩ সালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাস করেন। ১৯৯০ সালে তৎকালীন আইপিজিএমআর (বর্তমানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়) থেকে এমফিল ডিগ্রি নেন তিনি। ২০০১ সালে অধ্যাপক হিসেবে পদোন্নতি পান।
আবুল কালাম আজাদ স্বাস্থ্য অধিদফতরের ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম (এমআইএস) বিভাগের পরিচালক এবং অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালকের (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) দায়িত্বেও ছিলেন। ২০১৬ সালের ১ সেপ্টেম্বর স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক পদে অধিষ্ঠিত হন তিনি।