নিউজ বাংলা ডেস্ক:
আওয়ামী লীগের বাধা পেয়ে শামা ওবায়েদ বাড়ি ফিরে এসে নগরকান্দা উপজেলার লস্কদিয়ায় এক সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করে বলেন, আমি রিটার্নিং কর্মকর্তার অনুমতি নিয়েই জনসভা কর্মসূচি দিয়েছিলাম। গত মঙ্গলবার এ কর্মসূচি দেওয়ার পর থেকে পুলিশ আমাদের নেতাকর্মীদের আটক শুরু করেছে। বুধবার বিকেলে আমি গাড়িবহর নিয়ে সভাস্থলে যাওয়ার পথে সালথা উপজেলা পরিষদের সামনে উপজেলা চেয়ারম্যান ওহিদুজ্জামানের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের নেতারা বাধা দেয়। এ ছাড়া সভাস্থলে থাকা নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করে। এ সময় বহু নেতাকর্মী হামলায় আহত হয়। এ ছাড়া পুলিশ সেখান থেকে অনেক নেতাকর্মীকে আটক করেছে।
শামা ওবায়েদ বলেন, ‘আমি বলব প্রশাসন নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করছে না। তারা একপেশে ভূমিকা পালন করছে এই নির্বাচনে।’ তিনি এ সময় রিটার্নিং কর্মকর্তা ও নির্বাচন কমিশনের সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন। সেই সঙ্গে আগামী ৩০ ডিসেম্বর যাতে ভোটাররা সুষ্ঠুভাবে ভোট দিতে পারে সে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রশাসনের কাছে আবেদন করেন।
সংবাদ সম্মেলনে সালথা ও নগরকান্দা উপজেলা বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
নগরকান্দা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইফুজ্জামান মুকুল বলেন, জনসভাস্থলে লোকজন আশা শুরু হলে ঠিক সেই সময় মোতায়েনরত পুলিশ, বিজিবিকে উপেক্ষা করে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাব্বির চৌধুরী, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জুয়েলের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের লোকজন লাঠিসোঁটা ও বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র সহকারে বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করে। এতে প্রায় ৩০ জনের মতো আহত হয়েছে। হামলায় আহতদের মধ্যে জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট হাফিজুর রহমান হাফিজ রয়েছেন। সভাস্থল থেকে পুলিশ বেশ কয়েকজন বিএনপির নেতাকর্মীকে আটক করে। পরে আওয়ামী লীগের লোকজন সেখানে জড়ো হয়ে সভা করতে শুরু করে দেয়।