নিউজ বাংলা ডেস্ক:এক সময় গ্রামীণ জনপদে পরিচিত কিছু ফুলের মধ্যে পদ্ম ও অন্যতম ছিলো। বর্ষণমুখর দিনের শ্রাবণ থেকে শুরু করে শরতের শেষ অবধি এই ফুলের সমাহার দেখা যেত গাঁয়ের কোন কোন পদ্মপুকুরে।
অনিন্দ্য সৌন্দর্যের কারণেই পদ্মকে জলজ ফুলের রানি বলা হয়। পদ্ম ফুল সাধারণত সাদা, গোলাপি অথবা হালকা গোলাপি রং এর হয়। অনেকেই লাল শাপলা আর পদ্ম ফুলের মধ্যে মিল থাকার কারণে চিনতে ভুল করেন কিন্তু এর বীজ পত্রটা ভালোভাবে দেখলেই পার্থক্য বোঝা যায়। আবার কাশ্মীর আর ইরানে নীল বর্ণের পদ্ম ফুলের দেখা মেলে যাকে নীল পদ্ম বা নীল কমল বলে। পদ্ম ফুল প্রধানত শরৎকালে ফোটে তবে আবার কখনও কখনও বর্ষাকালেও পদ্মের দেখা পাওয়া যায়।বাংলাদেশের গ্রামীণ জনপদে গোলাপী রংয়ের পদ্মফুল দেখা যেত ।
পদ্মের পাতায় মুষলধারে বৃষ্টি পড়ায় সৃষ্ট শব্দ প্রকৃতির অনন্য সমৃদ্ধ সম্ভার। বৃষ্টি থেকে রক্ষা পেতে বিলপারে থাকা কেউ আশ্রয় নিলে ও পদ্মপাতা তুলে নিয়ে ছাতার মতো মাথায় দিয়ে মাঠ পেরিয়ে যাওয়া। ওই যে পদ্ম পুকুরের পার্শ্বে ছুটে বেড়াতে, প্রকৃতির কী মোহনীয় লোকগাঁথা যেন । ফুল ফোটার সময় এলে দূর থেকে পদ্ম পুকুরের সুন্দর দেখতে অনেকে ছুটে যেত।
পদ্মপুকুর পাড়ে এলেই যেন অন্য রকম উন্মাদনা পেয়ে বসেছে প্রকৃতিপ্রেমী মানুষকে। প্রকৃত প্রকৃতিপ্রেমি মানেই পদ্ম পুকুর পাড়ে এসে ক্ষান্ত হয়ে অপলক কিছুক্ষণ তাকিয়ে থাকা। কিন্তু এই পদ্মপুকুর কি এভাবেই হারিয়ে যাবে আমাদের ইতিহাস থেকে?

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here