নিউজবাংলাডেস্ক:

নাইন/ইলেভেন হামলায় নিহতদের স্মরণে তোড়জোড় শুরু করেছেন মার্কিন নেতারা। রীতিমতো প্রতিযোগিতায় নেমেছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিরোধী ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রার্থী জো বাইডেন। নানা অনুষ্ঠান আর শ্রদ্ধা নিবেদনের মাধ্যমে চেষ্টা করছেন একে অপরকে ছাড়িয়ে যাওয়ার। করোনাভাইরাস মহামারী সত্ত্বেও যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে স্মৃতিশৌধ ও মিউজিয়ামে করা হয়েছে আলোকসজ্জা। শুক্রবার ৯/১১ হামলার ১৯তম বার্ষিকী উপলক্ষে হামলার অন্যতম স্থান পেনসিলভানিয়ার শাঙ্কসভিল সফর করবেন ট্রাম্প ও বাইডেন। তবে একেবারেই আলাদা-আলাদাভাবে অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন তারা। মার্কিন নির্বাচনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এই রাজ্যে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে চেষ্টা করবেন নিজ নিজ ফায়দা লাভের। যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় শুক্রবার সকালেই অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। তবে বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৯টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কোনো অনুষ্ঠান শুরু হয়নি। যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসের অন্যতম ভয়াবহ দিন ২০০১ সালের সেই ১১ সেপ্টেম্বর। কারণ এই দিন দেশটির নিউইয়র্কে ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার, ওয়াশিংটনে মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতর পেন্টাগনে হামলা চালিয়েছিল আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন আল-কায়েদা। সেই হামলায় প্রাণ হারিয়েছিলেন প্রায় তিন হাজার মানুষ। আর আহত হয়েছিলেন ছয় হাজারের বেশি। এ ছাড়া কমপক্ষে এক হাজার কোটি মার্কিন ডলার ভৌত অবকাঠামো এবং সম্পদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল সেই দিন।

আবারও রুশ হ্যাকারদের ‘টার্গেটে’ মার্কিন নির্বাচন -মাইক্রোসফট : যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান মাইক্রোসফট জানিয়েছে, রাশিয়া, চীন ও ইরান সংশ্লিষ্ট হ্যাকাররা ২০২০ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে যুক্ত ব্যক্তি ও বিভিন্ন গ্রুপের ওপর খবরদারির চেষ্টা চালাচ্ছে। ২০১৬ সালের নির্বাচনে ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রচারণার নথি হাতিয়ে নেয়া রুশ হ্যাকাররা এবারও তৎপর রয়েছে বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। মাইক্রোসফট বলছে, এবারে ট্রাম্প এবং ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বাইডেন উভয়ের প্রচারণার ওপর নজরদারি অব্যাহত রেখেছে হ্যাকাররা। বিবিসি জানায়, নানা তদন্তের পর মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলো চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছায় যে ২০১৬ সালের নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী হিলারি ক্লিন্টনের পরাজয়ের নেপথ্যে ভূমিকা রাখে রাশিয়া।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here