নিউজবাংলা ডেস্ক :

বরেন্য আলেমে দ্বীন হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফীকে শেষবারের মতো দেখতে ও জানাজায় অংশ নিতে  লোকে লোবারন্য হয়ে গেছে হাটহাজারী। চট্টগ্রামের হাটহাজারী মাদরাসার প্রাঙ্গণে জড়ো হতে শুরু করেছেন দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা আলেম, মাদরাসা শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ। শনিবার ফজরের পর থেকেই এখানে মানুষের ভিড় শুরু হতে থাকে। সকাল ১০টা নাগাদ হাটহাজারী মাদরাসা ও আশপাশের কয়েক কিলোমিটার এলাকা লোকে লোকারণ্য হয়ে গেছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, কুমিল্লা, লক্ষ্মীপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, নোয়াখালী, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়িসহ আশপাশের জেলাগুলো থেকে বিপুল আলেম ও শিক্ষার্থীরা জানাজায় অংশ নিতে এখানে জমায়েত হচ্ছেন। এদিকে যানজট এড়াতে ইতোমধ্যেই চট্টগ্রাম-রাঙ্গামাটি ও চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি মহাসড়কে যান চলাচল সীমিত করেছে স্থানীয় প্রশাসন। এ কারণে হাজার হাজার ভক্ত-অনুরাগীরা চট্টগ্রাম শহর থেকে হেঁটেই হাটহাজারীর দিকে রওনা দিয়েছেন।

৯টার দিকে শাহ আহমদ শফীর মরদেহ মাদরাসা প্রাঙ্গণে পৌঁছায়। এর আগে ভোর ৪টার দিকে রাজধানীর ফরিদাবাদ মাদরাসা থেকে তার মরদেহ বহনকারী গাড়িটি চট্টগ্রামের উদ্দেশে রওনা দেয়।

হাটহাজারী মাদরাসায় শুরা কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আল্লামা শাহ আহমদ শফীর মরদেহ জোহরের আগ পর্যন্ত মাদরাসার কনযুদ্দাকায়েক শ্রেণিকক্ষে সবার দেখার জন্য রাখা হবে। জোহরের নামাজের পর মাদরাসা মাঠেই তার নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। জানাজা শেষে মাদরাসা ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে বায়তুল আতিক জামে মসজিদের সামনের কবরস্থানে মরদেহ দাফন করা হবে।

উল্লেখ্য, আল্লামা শাহ আহমদ শফী শুক্রবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর আজগর আলী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেছেন আল্লামা শফীর ভাগ্নে তাউহীদ ও হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুহুল আমিন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here