নিউজবাংলা ডেস্ক:প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা সোমবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট (ইটিআই) ভবনে পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপের প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণ কর্মসূচি উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে বলেন, ‘এবারের উপজেলা নির্বাচনে আমরা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের পাশাপাশি বেশি করে নিজস্ব কর্মকর্তাদের নির্বাচনের দায়িত্ব দিয়েছি। এ দায়িত্ব সঠিক ও দৃঢ়তার সঙ্গে পালন করলে সামনে আমরা সকল নির্বাচনের দায়িত্ব আপনাদের হাতে তুলে দেব। আর এর উল্টোটা হলে, নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হলে আমাদেরকে প্রশাসনের কর্মকর্তাদের ওপরই নির্ভর করতে হবে।’তিনি আরও বলেন, ‘এরকম হলে দেখা যাবে, আপনারা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের পেছন পেছন ফাইলপত্র বগলদাবা করে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। ফলে নিজেদের স্বার্থেই আপনাদেরকে যোগ্যতা, দৃঢ়তা, সততা, সাহসিকতার সঙ্গে নির্বাচনী দায়িত্ব পালন করতে হবে।’সিইসি আরও বলেন, ‘নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য করতে ইসির নিজস্ব কর্মকর্তাদের নির্বাচনের সামগ্রিক দায়িত্ব নিতে হবে। নির্বাচন যাতে প্রশ্নবিদ্ধ না হয় সেজন্য ইসির নিজস্ব কর্মকর্তাদের দৃঢ়তা, নিষ্ঠা, সাহসিকতার সঙ্গে অর্পিত দায়িত্ব পালন করতে হবে।’
সিইসি আরও বলেন, ‘প্রশাসনের কর্মকর্তারা কেবল নির্বাচনের সময় কয়েক দিনের জন্য ইসির আওতাভুক্ত হয়। নির্বাচন শেষে তারা স্ব স্ব দায়িত্বে ফিরে যান। এর ফলে নির্বাচন নিয়ে ইসির কোনো বোঝাপড়া করতে চাইলে প্রায়শই তা সঠিকভাবে করা সম্ভব হয় না। এমন অবস্থায় ইসির নিজস্ব কর্মকর্তারা নির্বাচনের সামগ্রিক দায়িত্বে থাকলে দায়বদ্ধতা অনেক বাড়বে। নির্বাচনও অনেক ভালো হবে।’
কে এম নূরুল হুদা বলেন, ‘উপজেলা নির্বাচনে পাওয়া সুযোগ কাজে লাগিয়ে নিজেদের প্রস্তুত করে নিন। দল, ব্যক্তি, প্রভাবশালীদের থ্রেট উপেক্ষা করে নতুন দৃষ্টান্ত তৈরি করুন।’
সিইসি বলেন, ‘ইসির নিজস্ব কর্মকর্তাদের সঙ্গে নির্বাচনের আগে আমি ব্যক্তিগতভাবে আলাপ করেছি, নির্বাচনে কোনো থ্রেট (হুমকি) আছে কি না, নির্বাচন অনুষ্ঠানে পরিকল্পনা কি— এসব প্রশ্নে অনেকেই আমাকে থ্রেট আছে কি নেই, তা স্পষ্ট করে কিছু বলেননি। কেবল প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলেছেন, নির্বাচন সুষ্ঠু হবে। তবে সত্য হচ্ছে, কিছু কিছু ক্ষেত্রে সেরকম নির্বাচন হয়নি, যে রকম সুষ্ঠু নির্বাচন আমরা চেয়েছি।’
সিইসি বলেন, ‘আমরা চাই না নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হোক। তাই কেউ দায়িত্ব পালনে কোনো ত্রুটি করবেন না। নির্বাচনের মাঠে, দায়িত্ব পালনে আইনের কঠোর প্রয়োগ যেন হয়।’
প্রথা অনুযায়ী, সংসদ নির্বাচনে বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকরা রিটার্নিং কর্মকর্তা এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসার সহকারী রিটার্নিং অফিসারের দায়িত্বে নিয়োজিত থাকেন। উপজেলা নির্বাচনে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ও উপজেলা নির্বাহী অফিসাররা নিয়োজিত রয়েছেন দেশের অর্ধেক উপজেলায়। বাকি এলাকায় জেলা নির্বাচন ও উপজেলা নির্বাচন অফিসারদের দায়িত্বে সমন্বয় করা হয়েছে।