নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

সকল  এমপিও ভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করন এখন সময়ের দাবি।দেশের ৯৭ ভাগ শিক্ষার্থীর শিক্ষার দায়িত্ব এমপিও ভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উপর।এমপিওভুক্ত শিক্ষকরাই এই দায়িত্ব পালন করে থাকেন। অথচ এই শিক্ষকরাই নানা দিক দিয়ে অবহেলা ও বঞ্চনার স্বীকার।এমপিও ভুক্ত শিক্ষকরা সরকার থেকে শতভাগ বেতন পেলেও বাড়ি ভাড়া পান ১০০০ টাকা, চিকিৎসা ভাতা পান ৫০০ টাকা, উৎসব ভাতা পান বেতনের শতকরা ২৫ ভাগ। সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাথে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এ বৈষম্য দূরীকরণ আবশ্যক।

গতকাল ১৫ই আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ বেসরকারি শিক্ষক- কর্মচারী ফোরামের এক আলোচনা সভায় বক্তারা এ কথা বলেন।

বিকাল ৪ টায় আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে বেলা ১২ টায় বাংলাদেশ বেসরকারি শিক্ষক- কর্মচারী ফোরামের নেতৃবৃন্দ বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুস্পস্তবক অর্পণ করেন।

সভায় সংগঠনের সভাপতি অধ্যক্ষ মোঃ মাইন উদ্দিন বলেন, সরকার এখন বেছে বেছে কিছু এম,পিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করন করছেন।কিন্তু এখন বেছে বেছে নয়, সকল এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এক ঘোষণার মাধ্যমে জাতীয়করন করা দরকার।

সংগঠনের মহাসচিব রফিকুল ইসলাম বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্য আমরা একটি স্বাধীন দেশ পেয়েছি,বঙ্গবন্ধু না থাকলে আজ আমরা স্বাধীনভাবে কথা বলতে পারতাম না।বঙ্গবন্ধু ১৯৭২ সালে প্রাথমিক বিদ্যালয়কে সরকারি করেছিলেন।বঙ্গবন্ধু কন্যা আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৩ সালে ২৬ হাজার ১৯০ টি রেজিস্ট্রি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে এক ঘোষণায় সরকারি করেছেন। আমরাও চাই আমাদের শিক্ষাবান্ধব মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এমপিও ভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুব দ্রুত জাতীয়করণ করবেন।

সংগঠনের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু রায়হান বলেন, বঙ্গবন্ধু যদি বেঁচে থাকতেন শিক্ষকদের আজ আন্দোলন করতে হতো না।মাধ্যমিক শিক্ষা ব্যবস্থা এখন জাতীয়করণ থাকতো।বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন,”যদি কেউ ন্যায্য কথা বলে, আমরা সংখ্যায় বেশি হলেও, একজনও যদি সে হয়, তার ন্যায্য কথা আমরা মেনে নেব”।বর্তমান বেসরকারি এমপিও ভুক্ত শিক্ষকদের দাবী-ন্যায্য দাবী, আমরা আশা করবো মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাদের ন্যায্য দাবী মেনে নিয়ে এমপিও ভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ করবেন।

সভায় আরও বক্তব্য রাখেন উপাধ্যক্ষ আবদূর রহমান, এস এম ফরিদ উদ্দিন, কাজী নূর হাইউল হোসেন ও হারুন-অর-রশীদ হাওলাদার।

সংগঠনের যুগ্ম মহাসচিব মতিউর রহমান দুলালের সঞ্চালনায় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন আতিকুল্লাহ খান, মোহাম্মাদ নুরুল্লাহ, আব্দুল হাই সিদিকী, ইসমাইল হোসেন,মনির হোসেন, ফারুকুল ইসলাম, ডি এম সাহেব আলী, মোঃ হাোসেনসহ অনেকে।

আলোচনা সভার শেষে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সহ শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া করা হয়। দোয়া পরিচালনা করেন বাংলাদেশ বেসরকারি শিক্ষক কর্মচারী ফোরামের সহ-সভাপতি নুরুল্লাহ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here