তোফায়েল গাজালি

রাসূলের (সা.) জীবনে রয়েছে আমাদের জন্য উত্তম আদর্শ। ইহ-পরকালীন কল্যাণ ও মুক্তি পেতে তার কালজয়ী আদর্শের বিকল্প নেই।

রাসূল (সা.) রমজান ছাড়াও রোজা রাখতেন। রোজা ওজন কমানোর অনন্য উপায় হিসেবে স্বাস্থ্য বিজ্ঞানীদের কাছে স্বীকৃত।

রোজা রাখা শুধু ধর্মীয় অনুভূতির জন্য নয় বরং স্বাস্থ্য রক্ষার্থেও বিশেষ কার্যকরী। উচ্চ রক্তচাপ কমাতে বা শরীর থেকে দূষিত পদার্থ বের করতে রোজা বিশেষ ভূমিকা রাখে।

এর উপকারিতা সম্পর্কে জার্মানিতে একটি সমীক্ষার ফলাফলে জানা গেছে, শতকরা ৫৫ জন জার্মান একটা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত না খাওয়ার পক্ষে মত দিয়েছেন।

একটি আমেরিকান গবেষণা থেকে জানা যায়, রোজা রাখলে তা উচ্চ রক্তচাপ কমাতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখে।

রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘প্রতি মাসে তিন দিন রোজা রাখো।’ (বুখারি ও মুসলিম)।

রাসূল (সা.) সব সময় পেটে ক্ষুধা রেখেই খাবার গ্রহণ করতেন এবং ক্ষুধা রেখে খাবার শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন।

আল্লাহ বলেন, হে বনী-আদম! তোমরা খাও ও পান কর। (সূরা আল আরাফ-৩১) কিন্তু এই খাওয়া এবং পান করা যেন লাগামহীন না হয় সেজন্য এই আয়াতের শেষাংশে বলা হয়েছে- অপচয়/অপব্যয় করো না। তিনি অপচয়কারী/অপব্যয়ীদের পছন্দ করেন না।

রাসূলুল্লাহ (সা.) খাবার গ্রহণের একটি স্বাভাবিক সীমা দিয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘আদম সন্তান যে সমস্ত ভাণ্ডার পূর্ণ করে, তার মধ্যে পেট হলো সবচেয়ে খারাপ। আদম সন্তানের জন্য স্বল্প কিছু লোকমাই যথেষ্ট, যা দিয়ে সে তার পিঠ সোজা রাখতে পারে।

এর বেশি করতে চাইলে এক-তৃতীয়াংশ খাবারের জন্য, এক-তৃতীয়াংশ পানীয়ের জন্য এবং এক-তৃতীয়াংশ নিঃশ্বাসের জন্য নির্দিষ্ট করে।’ (তিরমিযী ২৩৮০, মুসনাদে আহমাদ ৪/১৩২)

এই হাদীসগুলোতে লুকিয়ে আছে সব ডায়েট মেন্যু, কিটো ডায়েট এবং মেডিকেল সায়েন্স। এ নির্দেশনাগুলো মেনে খাবার খেলে শরীরে ওজন যেমন স্বাভাবিক থাকবে তেমনি সুস্বাস্থ্যের নিয়ামতও পাওয়া যাবে।

রাসূল (সা.) পানি খেয়ে রোজা ভাঙার নির্দেশ দিয়েছেন; যার অর্থ হল- আমাদের খালি পেটে পানি খাওয়া উচিত। বিজ্ঞানও জোরালোভাবে কথাটিকে সমর্থন করে যে, খালি পেটে পানি পান করলে ওজন কমে।

রাসূল (সা.) দ্রুত পায়ে চলতেন। বিজ্ঞান বলে এমনটা করলেও শরীরের ওজন কমে।

লেখক: পরিচালক, আল কোরআন ইন্সটিটিউট

সূত্র: যুগান্তর

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here